বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে ভাগ করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৩২ পিএম

সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ‘দলীয়করণ’ করে ভাগ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সব কিছুকে এরা (সরকার) নষ্ট করে ফেলছে। আপনি বিচারালয় যান বিচার পাবেন না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কাছে যাবেন নিরাপত্তা পাবেন না। আগে বলবে, তুমি বিএনপি করো না আওয়ামী লীগ করো। যদি বিএনপি করো কোনো কিছু হবে না, উপরন্তু আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেবে। মিথ্যাচার, ভ্রষ্টাচার, দুর্নীতি এমন একটা জায়গা নেই যে, দেশটাকে বের করে আনার কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মরহুম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্মরণে ‘ড. খন্দকার মোশাররফ ফাউন্ডেশনে’র উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গোটা জাতি গত ১২/১৫ বছরে বিভক্ত করে ফেলেছে। এমন এটা জায়গা পাবেন না সেখানে আপনি দেখবেন যে, বিভক্তি নেই। সবখানে এই আওয়ামী লীগ আর বাকী সব বিরোধী এই একটা ভাগ তিনি করে ফেলেছেন। মসজিদের কমিটি সেখানে ভাগ, স্কুলের কমিটি সেখানেও ভাগ, মাদরাসার কমিটি সেখানেও ভাগ, গানের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজেও ভাগ- সবখানে ভাগ। এই যে বিভক্তি কোনো জাতিকে কখনো সামনের দিকে নিয়ে যাবে না। জাতিকে সামনের দিয়ে নিয়ে যায় ঐক্যের মধ্য দিয়ে যেটা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব করেছিলেন। ’৭৫ সালে এসে তিনি সেই বিভক্তি দূর করে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই গাজী মাজহারুল আনোয়ার জিয়াউর রহমান সাহেবের ভক্ত ছিলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান সাহেবও তার ভক্ত ছিলেন।।

সরকার রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে ফেলেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনটাই কেমন যেন নষ্ট হয়ে গেছে একদম, কলুষিত হয়ে গেছে। কোথায় ভালো জিনিস আছে বলেন। আজকে এটা তো সত্য কথা যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামোটা-এটা ভেঙ্গে পড়েছে, ভঙ্গুর। কারণ একটা নির্বাচনের মাধ্যমে যে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে, সরকার গঠন হবে সেই নির্বাচনে জনগণই অংশ নিতে পারে না। তাহলে এটা কিসের নির্বাচন? ওই জায়গাটা তারা ধবংস করে ফেলেছে। তাহলে বুঝেন এই যে একটা অবস্থা এই যে, এই যে একটা পরিবেশ, এই যে একটা সমাজ, এই যে একটা রাষ্ট্র তারা তৈরি করছে এখান থেকে মুক্তি হবে কি করে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

তিনি বলেন, এখান থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। এটা কী একা বিএনপির দায়িত্ব। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।এটা যে নষ্ট হচ্ছে এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে স্বপ্ন সেটা নষ্ট হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে যে পথ সেটা নষ্ট হচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য আমরা এখানে একটা সুন্দর আবাসভুমি তৈরি করতে পারছি না, যেখানে শান্তির সঙ্গে তারা একটা মুক্ত রাষ্ট্রে মুক্ত সমাজে বাস করবে সেরকম কোনো পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারছি না। এর জন্য দায়ী সম্পূর্ণ আজকের শাসকগোষ্ঠি আওয়ামী লীগ।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে বাতিঘর হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আমাদের সামনে একটা নক্ষত্রের মতো ছিলেন, বাতিঘর। আমরা এই ধরনের মানুষ আর পাবো না। আমরা অনুপ্রাণিত হই তার গানের মধ্য দিয়ে, আমরা অনুপ্রাণিত হই তার চরিত্রের মধ্য দিয়ে, আমরা অনুপ্রাণিত হই তার কাজের মধ্য দিয়ে। আসুন গাজী ভাইয়ে রুহের মাগফিরাতের জন্য আমরা সবাই দোয়া করি এবং আল্লাহতালা যেন আমাদের সবাইকে গাজী ভাই হওয়ার মতো তৈরি করেন।

মরহুম গাজী মাজহারুল আানোয়ারের বর্ণাঢ্য জীবন-কর্ম তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, গাজীপুরের সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের এম আবদুল্লাহ, প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সহধর্মিনী জোহরা গাজী ও ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন