শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মিডিয়ার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে কাজ করছেন

মতবিনিময়ে জিএম কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গণমাধ্যমে কণ্ঠরোধের জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, যে দেশের গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী। একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায়, সে দেশের গণতন্ত্রের হাল হকিকত। দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। জাপা চেয়ারম্যান সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজ সিজিএসের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, গত ২ বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে।

তিনি বলেন, এ কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি। সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক।

জিএম কাদের বলেন, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। প্রাণ খুলে কেউ কথা বলতে পারে না। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে। গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহিতার ঘাটতি হয়, ফলশ্রুতিতে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন