মর্মান্তিক ঘটনাটি সম্প্রতি পাকিস্তানের করাচির ওরাঙ্গি শহরে ঘটেছে। স্কুলের হোমওয়ার্ক না করার কারণে নিজের ১২ বছর বয়সী ছেলের শরীরে আগুন ধরিয়ে তাকে হত্যা করেছেন পাষণ্ড বাবা। আজ মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর খেলার জন্য বায়না ধরেছিল ছেলে শাহির। এসময় তার বাবা নাজির ছেলের স্কুলের হোমওয়ার্ক দেখতে চায়। ছেলের খাতায় হোমওয়ার্ক দেখতে না পেরে ক্ষেপে যায় ওই বাবা। এরপরেই ছেলের গায়ে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সে।
এরপর প্রথমেই তাকে কাতার হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে সিভিল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়। সেখানেই ৩৬ ঘণ্টা জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর মারা যায় ছোট্ট শাহির। শাহিরের মৃত্যুর দুইদিন পর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন শাহিরের মা। অভিযোগের পর অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে করাচি পুলিশ।
বাবা নাজিরের ভাষ্য অনুযায়ী, গত কিছুদিন ধরে পড়াশোনায় অমনোযোগী ছিল শাহির। যাতে সে পড়াশোনা করে তাই তাকে ভয় দেখাতে শরীরে কেরোসিন তেল ছিটিয়ে দিয়ে পরে ম্যাচে কাঠি ঠোকাতেই দুর্ঘটনাবশত ছেলে শাহিরের শরীরে আগুন লেগে যায়। এরপর ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যায় সে। অতপর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।
ডন জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর বাবা নাজিরকে গতকাল সোমবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হলে আদালত তাকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
ৱপুলিশ জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ছেলেকে হত্যা করতে চাননি বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ওই বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, তারা মামলাটি তদন্ত করছে। সূত্র : ডন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন