বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বান্দরবানে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ জনের মৃত্যুদন্ড

বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:৫৭ পিএম

বান্দরবানে ব্যবসায়ী ছোট মিয়া হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি চিং নু মং ওরফে হদা।


বান্দরবানে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ জন আসামী কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। এবং প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধের সাক্ষ্য ও প্রমাণ অপসারণ করায় আসামিদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া রে অং মার্মা নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। নিহত গরু ব্যবসায়ীর নাম ছোট মিয়া( ৪৫)।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– বান্দরবান সদর উপজেলার লুলাইন হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা রে অং মারমার ছেলে উচিংনু মার্মা (২২), মংনুমং মারমার ছেলে উবা চিং মার্মা (৩০), থোয়াইচিং মারমার ছেলে চিং নু মং ওরফে হদা (২৩), মৃত ক্য হ্লা প্রু মারমার ছেলে মং নু মং ওরফে মং নু (৫০) এবং সদর উপজেলার লুলাইন পুর্নবাসন পাড়ার বাসিন্দা কুনাক মারমার ছেলে মং থু ওরফে মং ক্যাসিং। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চিং নু মং ওরফে হদা ছাড়া বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, নিহত ছোট্ট মিয়া চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার দিয়াকুল এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে। ছোট্ট মিয়া এজাহারের প্রধান আসামি গরুর ব্যবসায়ী উচিংনু মার্মার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা বায়না দিয়ে একটি গরু কেনেন। পরে ভিকটিম কেনা গরু আনার জন্য বাকি টাকা নিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন হানসামাপাড়া বাজারে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২০০৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া থেকে পুলিশ আসামি উচিংনু মার্মাকেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, অপর আসামিদের সহযোগিতায় দা দিয়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলা কেটে হত্যা করে এবং ভিকটিমের মরদেহ ৩৪৮ নম্বর হ্লাপাইক্ষ্যং মৌজস্থা সারাম্রং ঝিরিমুখে মংজহ্লী মার্মার বাঁশবাগানে মাটিচাপা দেয়। এ ছাড়া গরু বিক্রির পাওনা ১২ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেন। পরে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আসামি উচিংনু মার্মার বর্ণনা অনুযায়ী পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে ভিকটিম ছোট্ট মিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় একই দিন ভিকটিমের ভাই মো. আমজু মিয়া বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর উসিংনু মার্মা, উবা চিং মার্মা, রে অং মার্মা, চিং নু মং প্রকাশ হদা, মং নু মং প্রকাশ মং নু এবং মং থু প্রকাশ মং ক্যাসিংকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর এ রায় দেন। মামলার বাদী মো. আমজু মিয়া রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন