মিশরীয় ২টি বিমান লিজ গ্রহণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)র ৪ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার সংস্থার সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি কর্মকর্তারা হলেন, সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রিন্সিপাল এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সাইফুল হক শাহ, এয়ার ওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার, বিএফসিসি ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া ও কামাল উদ্দিন আহমেদ। এর আগে গত সোমবার একই টিম আরও ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা হলেন, প্রধান প্রকৌশলী ( মেনটেইনেন্স) এসএম সিদ্দিক, আই অ্যান্ড কিউএ’র প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এসএম হানিফ এবং এমসিসির প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী। তবে এদিন ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক এবং পরিদর্শক দলের টিম লিডার ইশরাত আহমেদ হাজির হননি।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিশরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ দু’টি লিজ নেয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। প্রথম বছর শেষেই দু’এয়ারক্রাফটেরই ইঞ্জিন বিকল হয়। ইঞ্জিনগুলো প্রায় ১২-১৫ বছরের পুরানো এবং এর উড্ডয়ন যোগ্যতার মেয়াদকাল কম থাকায় ইঞ্জিনগুলো পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজ সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। এতে ৫ বছরে দেশের আর্থিক ক্ষতি হয় ১১শ’ কোটি টাকা। যা একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে উঠে আসে। স্থায়ী কমিটির এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন