টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডি নিউজের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় দাস লিটুর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সঞ্জয় দাস লিটু বর্তমানে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে পটুয়াখালী ব্রিজের ঢালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ক্লাসিক মেঘনা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক লিটু বিডিনিউজের ঢাকায় একটি কর্মসূচী শেষে বিকেলে ক্ল্যাসিক মেঘনা পরিবহনের বাসে বরগুনার বিডিনিউজের জেলা সংবাদদাতা মনির হেসেন কামাল সহ পটুয়াখালী উদ্দ্যেশে রওয়ানা করেন ।
হামলায় আহত সাংবাদিক সঞ্জয় দাস লিটু ও মনির হেসেন কামাল জানান,গতকাল বিকেল ৫ টায় সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ক্লাসিক মেঘনা পরিবহনের বাসে টিকিট কাটেন তারা।বাসে ওঠার পরে তারা বোঝতে পারেন এটি লোকাল বাস, আসার সময় বাসটি বিভিন্ন স্থানে থামিয়ে যাত্রী ওঠানো সহ ড্রাইভার পথে থাকা দুইজন যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করে ধীর গতিতে বাস চালাচ্ছিল এবং ড্রাইভার মোবাইলফোনে একাধিকবার ও দুইজন যাত্রীর সাথে কথা বলে ।গাড়ীচালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা সহ পিছন থেকে রওয়না হয়ে এই গাড়ীতে উঠবে তার জন্য ধীরে চালানোর বিষয়ে ড্রাইভারকে সতর্ক করেন সঞ্জয় দাস লিটু ২ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৭ টায় ভাংগা এলাকায় । এ সময় বাসের এক যাত্রী এর প্রতিবাদ করে বলেন আপনি কথা বলবেন না ড্রাইভারকে গাড়ী চালাতে দেন ,এ সময় সঞ্জয় দাস লিটু বলেন আমি তো আপনার সাথে কথা বলছিনা আমি ড্রাইভারের সাথে কথা বলছি ,আপনি বসেন। এ দিকে রাত সোয়া দশটার দিকে বাসটি পটুয়াখালী ব্রীজের দক্ষিন প্রান্তে ঢালের কাছাকাছি আসলে ঐ যাত্রী বাস থামাতে বলে সঞ্জয় দাস লিটুর সিটের সামনে এসে লিটুকে চার্জ করে বলেন “তুই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস তুই আমাকে চেনো আমি পটুয়াখালীর ৫ -৬ জন সন্ত্রাসীর মধ্যে একজন এই বলে হটাৎ সঞ্জয় দাস লিটুর মাথায় একাধিক লাথি মারে এত জানালার পাশে থাকা সিটে বসা লিটুর মাথা জানালার কাচের সাথে লাগে এসময় জানালার কাচ ভেঙ্গে তার মাথা মারাতœক রকম ভাবে জখম হয়। এ সময় পাশে থাকা অপর সাংবাদিক তাকে থামাতে চেষ্ট করে ব্যার্থ হয়। এদিকে ঔ ব্যক্তি পুর্ব পরিকল্পিত ভাবেই তার আরোও ৫-থেকে ৬ জন সহযোগীকে খবর দিয়ে রেখেছিল তারা মুহূর্তের মধ্যে বাসে ওঠে লিটুকে হামলা করার জন্য। এদের মধ্যে শহরের লেকরোড এলাকার মনির নামে একজন লিটুকে চিনে ফেলায় এবং লিটুর রক্তাক্ত ঐ অবস্থা দেখে দ্রæত সে হামলাকারী সহ বাস থেকে নেমে যায়। পরবর্তিতে গুরুতর রক্তাত্ত জখম অবস্থায় সাড়ে দশটার পরে মনির হোসেন কামাল লিটুকে নিয়ে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে আসেন।খবর পেয়ে পটুযাখালীর গনমাধ্যম কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সাজেদুল রাতেই হাসপাতালে আসেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান,সাংবাদিক লিটুর উপর হামলাকারীকে সনাক্ত করতে হামলাকারীর আহবানে বাসে যে গ্রæপটি গিয়েছিল তাদের মধ্যে মনির লিটুকে চিনতে পারায় ,দ্বিতীয় দফা হামলা থেকে সে রক্ষা পায়। আমরা মনির সহ হামলাকারীকে সনাক্ত করতে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি অভিযান চালিয়েছি,ইতোমধ্যে মনিরও গা ঢাকা দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন