শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বড় ঘোষণা পুতিনের, ইউক্রেন যুদ্ধের চিত্র পাল্টাচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:২০ পিএম | আপডেট : ১:৩১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে একটি বিরল ভাষণে বলেছেন যে, ইউক্রেনে তার অভিযানের লক্ষ্য পরিবর্তন হয়নি। পদক্ষেপটি ‘প্রয়োজনীয় ও জরুরী’ এবং অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে৷

এমন সময়ে পুতিন এ ভাষণটি দেন, যখন মস্কো পূর্ব এবং দক্ষিণে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের উপর তার দখলকে সুসংহত করতে শুরু করেছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ইউক্রেনের মুক্ত এলাকাগুলোতে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোটগুলো রাশিয়ার দ্বারা অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার বৈধতা দেবে। এর ফলে সেসব এলাকা, যার মধ্যে এমনকি ইউক্রেন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকাও আছে, সেখানে যে কোন আক্রমণকে মস্কো তাকে নিজের উপর আক্রমণ বলে ঘোষণা করতে পারে। ফলে তারা নিজেদের রক্ষার কথা বলে এমনকি পারমাণবিক বোমা ব্যবহারেরও অজুহাত পাবে।

উপরন্তু, রাশিয়ার সংসদ মঙ্গলবার একটি আইন পাস করেছে যা রাশিয়ার ফৌজদারি কোডে ‘মোবিলাইজেশন’ এবং ‘মার্শাল ল’ এর ধারণাগুলি প্রবর্তন করেছে। এটি আরও জল্পনা জাগিয়েছে যে, পুতিন ইউক্রেনের অভিযানকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ বলে ঘোষণা করতে পারেন। ফলে পুতিন ইউক্রেনে তার পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

মঙ্গলবার, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভি ল্যাভরভ বলেছেন, গণভোট অঞ্চলগুলিকে তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণের অনুমতি দেবে। ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিশ্চিত করে যে, তারা তাদের ভবিষ্যতের কর্তা হতে চায়,’ ল্যাভরভ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রসিয়া-১-কে বলেছেন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দিমিত্রো কুলেবা, ‘গণভোটের’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের জমির কিছু অংশ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ইউক্রেনের তার অঞ্চলগুলিকে মুক্ত করার অধিকার রয়েছে এবং রাশিয়া যা বলুক না কেন, তারা সেগুলি মুক্ত করার চেষ্টা করতে থাকবে।’

চারটি অঞ্চলে রাশিয়া সমর্থক কর্মকর্তারা - পূর্বে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণে খেরসন ও জাপোরোজিয়ায় চার দিন ধরে গণভোট নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যা শুক্রবার থেকে শুরু হবে৷ এর মধ্যে লুহানস্ক এবং খেরসনের প্রায় পুরোটাই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাপোরোজিয়া এবং ডোনেৎস্কের বেশিরভাগ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বাকি অংশে সংঘর্ষ চলছে।

২০১৪ সালে, রাশিয়ান বাহিনী ক্রিমিয়া আক্রমণ করেছিল এবং পুতিন একে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করেছিলেন। সেখানেও তখন এই সংযুক্তিকরণের জন্য একইভাবে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে ৯৭ শতাংশ ভোটার রাশিয়াকে সমর্থন করেছিলেন। বর্তমানে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ বলে স্বীকৃত। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন