সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত আরও ৯৫ আর্মেনীয় সেনার লাশ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে আজারবাইজান। মঙ্গলবার আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষ এসব লাশ হস্তান্তর করে। দেশটি জানিয়েছে যে আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর উস্কানির কারণে এসব সেনা হতাহত হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তি, জিম্মি ও যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে কাজ করা আজারবাইজানের সরকারি কমিশন এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে সেনাদের লাশগুলো আর্মেনিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লাশ হস্তান্তরের আগে আজারবাইজানীয় প্রসিকিউটর অফিসের (আইন বিষয়) কর্মীরা ওই ৯৫ আর্মেনিয়ান সৈন্যের মৃতদেহ পরীক্ষা করে দেখেন। এসব লাশগুলোতে কোনো সহিংসতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে তারা জানিয়েছে।’
২-১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লড়াইয়ে নিহত আর্মেনিয়ান সৈন্যদের খোঁজার জন্য সীমান্তে সংঘাতের স্থানগুলোতে অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আর্মেনিয়ান সেনাদের লাশ দেশটির কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে আর্মেনিয়ান সৈন্যদের ৩২ লাশ হস্তান্তর করেছে আজারবাইজান।
এদিকে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষের সময় ২০৭ আর্মেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বা নিখোঁজ হয়েছে।’ অন্যদিকে আজারবাইজান জানিয়েছে, ‘৮০ জন আজারবাইজানি সৈন্য নিহত হয়েছে।’
তবে সাম্প্রতিক এ সামরিক সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান। আজারবাইজানি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, আর্মেনীয় নাশকতাকারীরা আজারবাইজানে প্রবেশ করে মাইন স্থাপন করেছিল। এ সময় আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা আজারবাইজানি সেনাদের ওপর অব্যাহত গুলিবর্ষণ করেছে।
এ সংঘাতে তুরস্ক আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশটি আর্মেনিয়াকে ২০২০ সালের চুক্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এ দু’দেশ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকেই সংঘাতে লিপ্ত। ওই সময় আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখ দখল করে। কিন্তু, এ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
এরপর ২০২০ সালের শরত্কালে নতুন সংঘর্ষ শুরু হয় এবং আজারবাইজান আর্মেনীয়দের দখলে থাকা বেশ কয়েকটি শহর ও ৩০০টির বেশি বসতি ও গ্রাম মুক্ত করে। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির মাধ্যমে ওই যুদ্ধ শেষ হয়। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন