জাতীয় পার্টিতে নাটক যেন জমে উঠেছে। এবার রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে দলের চেয়ারম্যান গোলাম কাদেরকে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন। গতকাল বুধবার রওশন এরশাদ তার সংসদের প্যাডে সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেন।
এর আগে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে উপেক্ষা করে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেন। অতপর দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সংসদীয় দলের বৈঠক করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রওশন এরশাদকে অব্যহতি দিয়ে তাকে (সংসদ উপনেতা জিএম কাদের) বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নিয়োগের আবেদন করেন। এ নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে দলের সাবেক মহাসচিব ও সংসদের চীপ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কার হওয়ার পর রাঙ্গা প্রথমে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে ফের দলের ফেরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অতপর দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু পার্টির চেয়ারম্যানের অবস্থান নিয়ে নিয়ে বক্তব্য দেন। দলের প্রেসিডিয়াস সদস্যরা বৈঠক করে জিএম কাদেরকে সংসদীয় দলের নেতা সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানান। এর মধ্যে মশিউর রহমান রাঙ্গা ফের জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে রওশনকে অপরাসরণ করে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতার জন্য দেয়া আবেদন ভুল হয়েছে দাবি করে তা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
একের পর এক নাটকের পর এখন রওশন এরশাদ চিঠি দিয়ে দলের বহিস্কৃত নেতাদের ফিরিয়ে নিতে আদশে দেন।
জিএম কাদেরের কাছে পাঠানো চিঠিতে রওশন উল্লেখ করেন, ‘গঠনতন্ত্রের ২০-এর উপধারা-১ অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষকের ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যানের বিশেষ ক্ষমতা এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ধারা ২০-এর উপধারা ১ (১) - এর ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ এবং উপধারা ২-এর ক, খ, গ এবং উপধারা-৩ এ বর্ণিত অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারিমূলক বিধান স্থগিত করে জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া সব নেতা-কর্মীকে পার্টিতে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেওয়া যাচ্ছে।’
চিঠিতে রওশন এরশাদ আরো বলেন, সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউল হক মৃধা, আবদুল গাফফার বিশ্বাস, এম এ সাত্তার, দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, কাজী মামুনুর রশীদ, ইকবাল হোসেন রাজু আরো অনেককে দলে আগের পদে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন