মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন যুবদল নেতা মো. শাওন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় শাওনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু। একই তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক অর্থ সম্পাদক মেহের কায়সার রানা।
গত বুধবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোড়া মুহুর্মুহু টিয়ারশেল, রাবার বুলেট গুলি এবং ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তারা হলেন- মিরকাদিম পৌর বিএনপির কর্মী মোহাম্মদ শাওন, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নেতাকর্মীদেরকে হত্যা ও জখমের প্রতিবাদে কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বেলা ৩টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকায় আসেন। এসময় পুলিশ তাদের সেখানে অবস্থান নিতে বাধা দেয়। মুক্তাপুর থেকে পরে নেতাকর্মীরা ট্রাকে করে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় যান। সেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে শুরু করে। এ সময় মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম বিএনপির একটি মিছিলের ব্যানার ধরে টান দেন। এতে নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থলে বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন