জেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । যেখানে ৬১টি জেলায় ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। জেলায় জেলায় নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের প্রচারণায় যাতে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি ভূমিকা না রাখতে পারে সেজন্য ইতিমধ্যেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কমিশন।
বিদ্যমান আইনে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের কোন এমপি বা মন্ত্রী নিজ এলাকায় কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু মন্ত্রী-এমপিই নয়, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, হুইপ, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদার কোন ব্যক্তিই নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণই নয়, তাদের ব্যবহৃত কোন সরকারি যানবাহন বা অন্য কোন বস্তুও প্রার্থীর কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তবে তিনি ভোটার হলে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটা দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০১৬ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে এ আইন উল্লেখ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনের ২২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনি প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাধা নিষেধঃ ১. সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরুপ ব্যক্তি সংশ্লিস্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তাহার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
২. নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’
এখানে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি বলতে প্রজ্ঞাপনের ১ নম্বর ধারার ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি অর্থ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র"।
আগামী ১৭ অক্টোবর একযোগে দেশের ৬১টি জেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতিমধ্যেই কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ২২ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ের পথে। সে হিসেবে বাকি ৩৯টি জেলায় ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন