নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের পিটুনির শিকার ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবন মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালিক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানি বলেন, গত সোমবার রাতে জীবনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখাতে তাকে লাইভ সাপর্টে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তিনি মারা যান। জামিউল ইসলাম জীবন নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদদের বিরুদ্ধে মসজিদের মাইক চুরির সালিশে পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ফেসবুক লাইভ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জামিউল ইসলাম জীবন। এর জের ধরে পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে জীবনকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটান আসাদুজ্জামান আসাদ, ও তার দুইভাইসহ ৪/৫ জন। এ সময় বাধা দেওয়ায় জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকেও পেটানো হয়। আহতদের উদ্ধার করে রাতেই নাটোর সদর হাসপাতাল ও পরে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ফরহাদ হোসেনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। তবে জীবনকে পাঠানো হয় আইসিউতে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবারই জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার দুইভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন