উত্তরা ফিন্যান্সের ৯ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতের অনুমোদক্রমে গতকাল সোমবার ৬০ দিনের এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
নিষেধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, দিলকুশা’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান, তৎকালীন পরিচালক মো. মজিবর রহমান, ইউআইএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শামসুল আরেফিন, ইউআইএফএলের চেয়ারম্যান রশীদুল হাসান, অনিল চন্দ্র দাস, হেড অব ট্রেজারির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাঈনউদ্দিন, কাজী আরিফুজ্জামান, নবগঙ্গা ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের পরিচালক শংকর কুমার সাহা এবং শম্পা রানী সাহা। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুন রানী দাস দুদকে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি দেন।
বিভিন্ন অনিয়ম ও আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কাজে সম্পৃক্ততার দায়ে গত জুনে প্রতিষ্ঠানটির এমডি শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। উত্তরা ফিন্যান্সের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে ৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষায়ও নানা অনিয়ম পাওয়া যায়। সেই আলোকে গত ২৩ জুন শামসুল আরেফিনকে অপসারণ করা হয়।
দুদকে পাঠানো উত্তরা ফাইন্যান্সের চিঠিতে বলা হয়, শামসুল আরেফিনসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উত্তরা ফাইন্যান্সের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান রহমান রহমান হকের বিশেষ নিরীক্ষায় উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের ইন্সপেকশন চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন