শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তথ্য অধিকারের সাথে দায়িত্বশীলতাও থাকতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:১১ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ করছে, জনগণের তথ্য অধিকার সেই সমাজের ভিতকে মজবুত করবে। তিনি বলেন, সরকার তথ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে, পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার দিকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ইউনেস্কোর সঙ্গে মিল রেখে এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা’। তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেন এবং তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক সভায় বক্তব্য দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। তথ্যের অবাধ প্রবাহে জনগণের উপকারই এ কমিশন গঠনের লক্ষ্য।

ড. হাছান বলেন, সব দেশেরই রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আছে, সেই গোপন তথ্য চাইলেই রাষ্ট্র দিতে পারে না। মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও সব দেশের মতো আমাদের দেশেও আইন দ্বারা সুরক্ষিত। অনেক সময় দেখা যায়, সে ধরনের তথ্যের জন্য নানা চাতুরির আশ্রয় বা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়, সেটি কোনভাবেই সমীচীন নয়। ‘তথ্যপ্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করা’ প্রতিপাদ্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বচ্ছতাও আমাদের সরকারই এনেছে। সরকারের কোনো নীতিমালা প্রণয়নের আগে খসড়াটি সবার মতামতের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। কেউ যদি সময়ের মধ্যে মতামত না দিয়েই বলেন, মতামত নেওয়া হয়নি, সেটিও কাম্য নয়। সরকারের এ সব স্বচ্ছতা প্রশংসার দাবিদার।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম বিকাশের মধ্যদিয়ে তথ্য পাওয়া, সংবাদ পাওয়া, দেশের কাজে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে। একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে, আমাদের অধিকার যেমন আছে, একইসঙ্গে দায়িত্বশীলতাও থাকতে হবে। উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, একজন এমপির বিরুদ্ধে একটি ভুল সংবাদ পরিবেশন করায় বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে সবাইকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড একটি ভুল সংবাদের কারণে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে অসমর্থ হয়ে ২০১১ সালে বন্ধ হয়। সেই পত্রিকার সামর্থ্য ছিল না, শেষ পর্যন্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমাদের দেশে এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। সেখানে যেমন স্বাধীনতা আছে, দায়িত্বশীলতাও আছে। আমরা স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্ববোধে সচেতন থাকবো।

দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেনসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত সরকারি দপ্তর, তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কমিটি এই সাত পর্যায়ে ১৬ জনের হাতে তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন