প্রতি বছর যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে সে পরিমাণ গাছ রোপণ করা হচ্ছে কি? আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। ফলে বসত বাড়ি নির্মাণের জন্য গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, বন উজার করে মানব বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। একটি দেশে ২৫% বনভূমি থাকা প্রোয়জন, সেখানে বর্তমান বাংলাদেশে এর অর্ধেক আছে কিনা সহেন্দ। যা আমাদের দেশের পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। প্রতিদিন যে পরিমাণ কর্বনডাই অক্সাইড মোটগাড়ি, বাসা, ট্রেন, জাহাজ, ইটভাটা থেকে নির্গত হচ্ছে এর প্রভাব আমাদের বাযুমন্ডলে এবং ওজন স্তরে পড়ছে। তাছাড়া পাখিদের আশ্রয় স্থল হিসেবেও গাছের প্রোয়জন। বনভূমি আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনভূমির পরিমাণ কমে গেলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে যায়। ফলে প্রকৃতিতে খরা দেখা দেয়। কৃষিকাজের ব্যাহত হয়। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে বনভূমির গুরুত্ব অনেক, বনভূমির পরিমাণ কমে গেলে বাযুমন্ডলে উষ্ণতা বাড়তে থাকে যাকে গেøাবাল ওয়ার্মিং বলে। বন থেকে আমরা বিভিন্ন দামি এবং দুষ্প্রাপ্য সম্পদ পেয়ে থাকি। এমন নানান দুর্মূল্য ওষুধ আছে, যা বনভূমির দুষ্প্রাপ্য গাছের থেকে প্রস্তুত করা হয়। বনভূমি ধ্বংস হতে থাকলে ধীরে ধীরে এইসব ওষুধ বা বহুমূল্য উপাদানগুলির সন্ধান আর পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন ধরনের প্রাণী বা জীবকূলের সিংহভাগ বাস করে বিভিন্ন বনাঞ্চলে। যদি বন উজার করে তাদের আশ্রয় স্থলকে সংকটাপন্ন করে দেই তাহলে বাস্তুতন্ত্রের উপর এর প্রভাব পড়বে। ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানবসভ্যতা। তাই আসুন, আমরা সকলেই সচেতন হই, বেশি বেশি গাছ লাগাই, আমাদের বনভূমিকে রক্ষা করি।
কবি ও গবেষক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন