বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘নজরদারি’ করতে দুনিয়াজুড়ে থানা খুলেছে চীন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২১ পিএম

চীনের বিষয়ে কে কী ভাবছে? কারা সমালোচনা করছে? কোন মিডিয়ায় কী লেখা বা বলা হচ্ছে বেইজিংয়ের শি জিনপিং প্রশাসনের নামে? খোঁজ রাখতে এবার দুনিয়া জুড়ে গোপনে থানা খুলে ফেলেছে চীন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে চলা থানা থেকে প্রতিমূহূর্তে নজরদারি চলছে চীনের সমালোচনা করা যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার উপর। বিদেশে বসবাসকারী চীনারাও রয়েছেন এই ফুজহু পুলিশের রাডারে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মূলত মানবাধিকার সংগঠনগুলির উপর নজর রাখাই এই পুলিশের কাজ। শুধু তাই নয়, এই ফুজহু পুলিশের মাধ্যমে বিদেশের ভোটে প্রভাব খাটাতে চাইছে বেইজিং। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা নামে এক সংস্থা রিপোর্টে দুনিয়া জুড়ে শুরু হয়েছ হইচই। কানাডা এবং অ্যায়ারল্যান্ডে চীনের একাধিক থানার খোঁজ মিলেছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। চীনের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো সরাসুরি এই থানাগুলি চালাচ্ছে বলে খবর।

কানাডার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি, কানাডা জুড়ে এরকম একের পর এক গোপন চীনা থানার খোঁজ মিলেছে। কানাডায় চীনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে কিনা, তার উপরে নজরদারি চালানোই, তদন্ত করাই এই থানার কাজ। টরেন্টো এবং সংলগ্ন এলাকায় ফুজহু পুলিশ এরকম প্রায় তিনটি থানা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চীনের পিএসবি’র নির্দেশে গোপনে কানাডার রোদের ঘটনার উপর নজর চালিয়ে যাচ্ছে ছদ্মবেশী চীনা গোয়েন্দা পুলিশ। সরাসরি তারা রিপোর্ট করছে বেইজিংয়ে।

শুধু কানাডা নয়। দুনিয়া জুড়ে ২১ টি দেশে প্রায় ৩০ টির বেশি থানা চালাচ্ছে পিএসবি’র চরেরা। ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা সূত্রে দাবি, এই বেআইনি পুলিশদের দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আভ্যন্তরিণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং। তাদের কট্টর সমালোচকরা যাতে কোনও ভাবে অন্য দেশে ক্ষমতায় না আসে, তার জন্য কলকাঠি নাড়ছে শি জিনপিংয়ের সরকার। ইউক্রেন, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং ব্রিটেনেও চীনের পিএসবি’র চরেরা এরকম থানা চালাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম রিপোর্টিকা মতে, এই দেশগুলি থেকেই সব থেকে বেশি সমালোচনার মুখে পড়ে বেইজিং। চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও সব থেকে বেশি ওঠে এসব পশ্চিমা দেশগুলি থেকেই। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন