পূর্ব ইউক্রেনের বৃহত্তম শিল্প শহর দোনেৎস্ক। কালমিয়াস নদীর তীরে অবস্থিত এ অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেলেই শেষ হবে যুদ্ধ। ইউক্রেন অভিযানের ২১৭তম দিনে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি। বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেস্ক’ পুরোপুরি স্বাধীনের আগ পর্যন্ত আক্রমণ অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল ও জেলেনস্কি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযানে নামে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। কিন্তু পশ্চিমা সহায়তায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেন। ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয় রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিজঝিয়া, খেরসনকে রাশিয়াভুক্ত করতে গণভোটের আয়োজন করে মস্কো। ৫ দিন ধরে চলা ভোট শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।
বুধবার গণভোট থেকে প্রাপ্ত আংশিক ফলাফল বলছে, ব্যাপক সংখ্যক মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। লুহানস্ক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৯৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। জাপোরিজঝিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগ করা প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। দখলকৃত অঞ্চলে মস্কোর কর্মকর্তারা দাবি করছে, গণভোটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় সবাই রাশিয়ার অংশে যাওয়ার জন্য মত দিয়েছে। তবে এই গণভোটকে ‘জালিয়াতি’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলো। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এসব অঞ্চলে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এ চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন