মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সংসদীয় কমিটির তথ্য : টিকা তৈরীর কারখানার কাজ চলছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যেখানে করোনা ভ্যাকসিনসহ সকল ধরণের টিকা উৎপাদন করা যাবে। কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে ৫জন সরকারি কর্মকর্তা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভ্যাকসিন তৈরির ওপর প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। দক্ষ জনবল তৈরির জন্য পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বিদেশে প্রশিক্ষণে যাবেন। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে (ইডিসিএল) গোপালগঞ্জে বাস্তবায়িত ওই প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সঙ্কটের কারণে সারা বিশ্বে নতুন এই রোগের ভ্যাকসিন দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠায় সংসদীয় কমিটি গত বছর বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরির সুপারিশ করে। প্রথমে বিদেশ থেকে করোনার ভ্যাকসিন এনে তা বাংলাদেশে বোতল ও মোড়কজাতকরণের চিন্তা করা হলেও পূর্ণাঙ্গ ভ্যাকসিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিটিউট স্থাপনে একটি পরিপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কেবল করোনা নয়, সব ধরনের রোগের প্রতিশেধক টিকা উৎপাদন উপযোগী কারখানা স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। কমিটি প্রাথমিকভাবে গোপালগঞ্জে অবস্থিত এসেনশিয়াল ড্রাগসের ইউনিটের সঙ্গে এই কারখানা স্থাপনের সুপারিশ করে।
সূত্র আরো জানায়, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর কাছে প্রস্তাব দেয়। এডিবির উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি গোপালগঞ্জ পরিদর্শন শেষে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ফান্ড প্রদানে সম্মতি দিয়েছে। এই কারখানা স্থাপনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ভ‚মি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে এডিবির অর্থায়নে এনেসশিয়াল ড্রাগসের ৫ কর্মকর্তাকে ভ্যাকসিন তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠানো হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বিল-২০২২’ নিয়ে আলোচনা শেষে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন করে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমে সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যালের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকবৃন্দকে গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর ও মো. আমিরুল আলম মিলন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন