সাফজয়ী দুই নারী ফুটবলার বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এলে সেখানে তাদের দেখা করে বরন করে আনতে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা দলের এক দল খেলোয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম,কোচ ও ঠাকুরগাঁও ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।
সাফ ফুটবলে রংপুর বিভাগের তিন জন খেলোয়ার অংশগ্রহণ করেন রংপুরের সিরাত জাহান স্বপ্না, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার স্বপ্না রানী ও সোহাগী কিসকু। রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে (২৯ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সংবধনা শেষে স্বপ্না ও সোহাগী নিয়ে রানীশংকৈলের উদ্যেশে রাওনা দেন পুরো টিম। এদিকে স্বপ্না ও সোহাগীর বাড়ি আসার সংবাদে রানীশংকৈল উপজেলার সীমানা গেটে অপেক্ষা করতে থাকে ক্রিয়া অনুরাগী মানুষজন। এবং সেখানে তারা পৌছালে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন আগত মানুষজন ও অভিভাবকেরা। পরে সেখান থেকে রানীশংকৈল শহরের দিকে সবাই মিলে রাওনা দিলে একটি র্যালীর মত করেই সবাই রানীশংকৈল শহরে প্রবেশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা এস,কে মাসুদ রানা’র প্রশ্নের জবাবে সোহাগী কিসকু বলেন, আমি ভাবতে পারিনি এত মানুষ আমাদের জন্য বিমানবন্দরে আসবে। অনেক ভাল লাগছে অনেক আনন্দ হচ্ছে আমাদের। আমার আরও খেলার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে ভাবছি আমাদের আরও ভালভাবে খেলতে হবে। তাহলে আমরা আমার এলাকার নাম উজ্জল করতে পারবে।
আরেক খেলোয়ার স্বপ্না রানী বলেন, আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়ে আজকে আমরা যতদুরেই যেতে পেরেছি তাজুল স্যারের জন্যই যেতে পেরেছি না হলে আমাদের মাঠে ঘাটে কাজ করতে হতো। আমরা আরও ভাল কিছু করতে চাই। দেশের ও আমাদের রানীশংকৈলের মুখ উজ্জল করতে চাই।
রাঙ্গাটুঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাব ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা এস,কে মাসুদ রানা কে বলেন, এরা আমার ফুটবল দলের গর্ব। তাদের নিয়ে যে স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম আজ তারা হাটিহাটি পা পা করে তা পূরণ করছে। আমার মেয়েরা অনেক কষ্ট করে প্রতিদিন অনুশিলন করে তারা শুধু আমার না পুরো রানীশংকৈল তথা ঠাকুরগাঁও জেলার গর্ব। তারা অবশ্যই ভাল খেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন