কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাতি করতে গিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা থানার গাজীপুর এলাকার শিশু মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া, ফুল মিয়ার ছেলে মো. জাকির হোসেন ও মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকু।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার চাপিতলা এলাকার এক চা দোকানদারের বসতঘরে সিঁধ কেটে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করে। তারা প্রথমেই চা দোকানদারের স্ত্রী ও ছেলের মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে পেছনে হাত বেঁধে রাখে।
এ সময় ছদ্মবেশী ডাকাতরা চা দোকানদারের ঘরের আলমারি খুলে নগদ টাকা ও ছেলের পাসপোর্ট নিয়ে নেয়।
পরে ঘরের পাশের একটি কক্ষে চা দোকানদারের কিশোরী মেয়েকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে এবং কয়েকজন মিলে তার নগ্ন ছবি এবং ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ছদ্মবেশী ডাকাতদের একজনের মুখে থাকা মাস্ক খুলে গেলে ওই কিশোরী চিনতে পারে।
এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর বাঙ্গরা বাজার থানার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন চা দোকানদার। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে আটক করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন