শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তরুণদের ই-সিগারেট না নেয়ার পরামর্শ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

লিথিয়াম ব্যাটারির মাধ্যমে কার্টিজে থাকা নিকোটিন, স্বাদ ও গন্ধমিশ্রিত ই-লিকুইড ও প্রপিলিন গ্লাইকল নামক রাসায়নিক পুড়িয়ে মস্তিষ্কে ধূমপানের মতো অনুভূতির সৃষ্টি করে ই-সিগারেট। গত কয়েক বছর ধরেই তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। অনেকে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে কিংবা সিগারেট ছাড়তে হাতে তুলে নিয়েছে এই ডিজিটাল ভ্যাপিং ব্যবস্থা। বলা হয়ে থাকে ধূমপানে আসক্তি কমাতে ও সিগারেটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে তামাকবিহীন ই-সিগারেট তুলনামূলক ভালো সমাধান হতে পারে। কিন্তু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। তরুণ অধূমপায়ীদের ই-সিগারেট ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সাধারণ সিগারেটের (ভ্যাপ) তুলনায় ই-সিগারেট সামান্যই ঝুঁকি বহন করে। তবে ভ্যাপের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও অজানা। অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ (এএসএইচ) এর সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী লোকেদের মধ্যে ভ্যাপিং ২০২০ সালে ৪ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ হয়ে ২০২২ সালে ৮.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও একই বয়স-গোষ্ঠীর জন্য ধূমপানের পরিসংখ্যানে এসেছে কিছুটা ইতিবাচক পরিসংখ্যান। ২০২০ সালে ৬.৭ শতাংশ থাকলেও ২০২২ সালে এসে তা ৬ শতাংশ থেকে কিছুটা কমে এসেছে। ই-সিগারেটের ভেতরে থাকা তরল পদার্থ এবং ধোঁয়া অনেক সময় এমন সব ক্ষতিকর রাসায়নিক বহন করতে পারে, যা সাধারণ সিগারেটের ভেতরেও থাকে। তবে এর মাত্রা অনেক কম। তামাক থাকে না বলে সাধারণভাবেই মনে হতে পারে সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর। কিন্তু সাধারণ সিগারেটের মতোই ই-সিগারেটেও থাকে ক্ষতিকারক নিকোটিন। তাই এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে ই-সিগারেট আপনার নেশা কাটাবে। বরং গবেষকেরা বলছেন, তরল-নিকোটিন সিগারেটের মতোই আপনাকে নেশাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা এর আগে ছোট কয়েকটি পরীক্ষায় দেখেছেন, এ ধরণের ধোঁয়া গ্রহণ বা ভ্যাপিং শরীরের ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে পারে। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন