নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় বন্ধুকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামাল হোসেন শান্তকে ২৪ বছর পর গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানান র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ। তার আগে শুক্রবার রাতে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি বিশেষ টিম।
র্যাব জানায়, ১৯৯৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া নামে একজনকে পূর্ব শত্রæতার জেরে এসিড নিক্ষেপ করেছিলেন কামাল। এতে জাকারিয়ার চোখ, মুখ, বুক, হাত দগ্ধ হয়। এসিড নিক্ষেপের পর জাকারিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় জাকারিয়ার বাবা মোহাম্মদ ইউনুস ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত আসামি কামালকে ওই মামালায় যাবজ্জীবন কারাদÐ দেন।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক বলেন, ১৯৯৮ সালে ঘটনার পর থেকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় কামালকে আর গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে নিজেকে আত্মগোপনে রাখেন। একসময় তার নিজ এলাকা চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ চলে যান। সেখানে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত স্টুডিওর কর্মচারী হিসেবে ছবি ওঠানো, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে কাজ করতেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নিজ এলাকায় কৃষিকাজ করেন।
২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ল²ীপুর জেলার রামগঞ্জ থানায় দায়ের করা ডাকাতির মামলায় জেল হাজতে ছিলেন কামাল। ২০০৭ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কামাল ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাঁচামালের আড়তে সবজির ব্যবসা করেন। ২০১০-২০১১ সালে তিনি পুনরায় ডাকাতির মামলায় হাজতবাস করেন। ২০১৩ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। ২০১৩ সালে তিনি তার এলাকা ছেড়ে দেন।
পরে ফরিদগঞ্জ থেকে শাহারাস্তিতে চলে এসে জমি কিনে বালু ব্যবসা শুরু করেন। কামালের বিরুদ্ধে চাঁদপুর, ল²ীপুর ও চট্টগ্রামে আটটি মামলা রয়েছে। আর এসিড হামলার শিকার হাফেজ মো. জাকারিয়া বর্তমানে সউদী আরবে কর্মরত রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন