শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জনশক্তি রফতানিতে বাড়ছে গতি

ছয় মাসে শুধু সউদীতেই গেছে ৫ লাখ, টিকিটের টাকা যোগাতে নাভিশ্বাস

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৫:২০ পিএম | আপডেট : ৭:৪৮ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২২

জনশক্তি রফতানিতে গতি বাড়ছে। করোনা পরবর্তী রিসিভিং কান্ট্রিগুলোতে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হওয়ায় জনশক্তি রফতানির পালে হাওয়া লেগেছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনশক্তি রফতানির সর্বোচ্চ দেশ সউদীসহ বিভিন্ন দেশে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪০ জন বাংলাদেশি নারী পুরুষ কর্মী চাকরি লাভ করেছে। এর মধ্যে গত ৬ মাসে সউদী আরবেই ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী চাকরি লাভ করেছে। বিএমইটির রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজে গেছেন। সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার জাপান, বাহরাইন, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জনশক্তি রফতানিতে আরো উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

সউদী আরবে ২.৬ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশি উভয় দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। তারা প্রচুর রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছেন। ঢাকাস্থ সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে রেমিট্যান্সের অবদান সবচেয়ে বেশি। যদিও গত আগস্ট মাসের তুলনায় সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভাটার টানা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘ চার বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হওয়ায় হাজার হাজার কর্মী দেশটিতে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি ২৫ সিন্ডিকেটের সাথে বায়রার নতুন কমিটিসহ আরো ৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের অনুমতি দিয়েছে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৫টিতে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে নতুনভাবে অনুমতি পাওয়া রিক্রুটিং এজেন্সি দি ইফতি ওভারসীজ দেশটির একটি ফার্ণিচার ফ্যাক্টরিতে ১২৫ কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র লাভ করেছে। ইফতি ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী মো. রুবেল জানান, মালয়েশিয়া সরকার কর্মী নিয়োগের নতুন ৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে পাসওয়াড হস্তান্তর করেছে। আগামী বিশ দিনের মধ্যে ১২৫ জন কর্মীর ফ্লাইট দেয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী এক মাসের মধ্যে মালয়েশিয়ায় পুরোদমে কর্মী প্রেরণ শুরু হবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। এতে জনশক্তি রফতারিন গতি আরো বাড়বে। মো. রুবেল, মালয়েশিয়ার শ্রমবজার সম্প্রসারণে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএমইটি কর্তৃপক্ষ ৪ হাজার ৬৫৯ জন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীর বর্হিগমন ছাড়পত্র ইস্যু করেছে। এর মধ্যে দেশটিতে গিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী। অনুমোদিত মেডিক্যাল সেন্টারগুলো মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বিপুল সংখ্যক কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী এসব কর্মী আদৌ দেশটিতে যেতে পারবে কী না তা’নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

জনশক্তি রফতানিকারক ও অর্থনীতির গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির প্রধান বাজার মধ্যপাচ্যের দেশগুলো। দুই বছরের মহামারির ধাক্কা সামলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো এই দেশগুলোও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় চাঙা হচ্ছে এসব দেশের অর্থনীতি। সব মিলিয়ে তাদের কাজের লোকের চাহিদা বেড়েছে। তাই বাড়ছে জনশক্তি রফতানি। এ কারণে আগামী দিনগুলোতে দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণও বাড়বে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন তারা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৭২টি দেশে কাজ নিয়ে যায় বাংলাদেশিরা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী যাচ্ছে সউদী আরবে। প্রতি বছর বাংলাদেশে থেকে আট থেকে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে যান। এদের বেশিরভাগই যান অদক্ষ কর্মী হিসেবে।

জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি সূত্র জানায়, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর সউদী আরবে বিভিন্ন খাতে বিশাল কর্মযোগ্য শুরু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে জোরেশোরে কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে। কিন্ত বিমানসহ এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য অতিরিক্ত বৃদ্ধি করায় টিকিটের টাকা যোগাতে কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। বিমানের টিকিটের চড়া মূল্যের দরুণ ভিসাপ্রাপ্ত হাজার হাজার সউদীগামী কর্মী দেশটির কর্মস্থলে যেতে চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। বিমান কর্তৃপক্ষ গত সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা- জেদ্দা-ঢাকা রুটে টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। ফলে অন্যান্য বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোও টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে।

বিএমইটির সূত্র জানায়, করোনা মহামারির পর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন কর্মী কাজ নিয়ে বিভিন্ন দেশে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক মাসে এতো বেশি জনশক্তি রফতানি হয়নি। এর আগে ২০১৭ সালের মার্চে ১ লাখের কিছু বেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। বোয়েসেলের মাধ্যমে যাওয়া কর্মী ছাড়া বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাই এসব ভিসার বিরাট একটা অংশ যোগান দিচ্ছে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও বিভিন্ন দেশে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সংগ্রহ করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক ক‚টনৈতিক তৎপরতায় ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সর্ম্পক বিরাজ করছে। করোনা মহামারির পর সউদী নিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে ৮০ ভাগ কর্মী নিচ্ছেন। সউদী রাষ্ট্রদূতের সার্বিক তত্তাবধানে নিরলসভাবে সউদীগামী কর্মীদের হাজার হাজার ভিসা ইস্যু করে দূতাবাস এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সউদী আরবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়ার সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস প্রতিদিন অন্তত ৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে ওয়ার্ক ভিসা দিচ্ছে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। গেল ছয় মাসে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর সউদীতে কর্মসংস্থান হয়েছে। সউদী কোম্পানিগুলো শান্তি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত। এটি দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সউদীর অবদানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সউদীর বিশাল অবদান আছে। রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, বাংলাদেশ-সউদী আরব নানা ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে সউদীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক জোটে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে। সউদী আরবে ২.৬ মিলিয়ন প্রবাসী বাংলাদেশি উভয় দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। তারা প্রচুর রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সউদী আরব সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে, বিশেষ করে দুঃসময়ে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সউদী সফর এবং বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের পর বাংলাদেশ ও সউদীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। আগামী দিনে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।

বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্ব মোট ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কর্মী গেছেন বিভিন্ন দেশে। সূত্র মতে, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪১ হাজার ৫৮ জন কর্মী সউদী আরবে চাকরি লাভ করেছে। একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের ওমানে ১৭ হাজার ৯৬৭ জন, সিঙ্গাপুরে ৬ হাজার ৯৪৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬ হাজার ৭৭২ জন, মালয়েশিয়ায় ৪ হাজার ৬৫৯ জন, কুয়েতে ২ হাজার ২৬২ জন, কাতারে ২ হাজার ২২৭ জন এবং ইতালিতে ২ হাজার ১৮৩ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, গত ডিসেম্বরে জনশক্তি রফতানির রেকর্ডে আমরা (সরকার) সত্যিই খুশি। মালয়েশিয়ায়ও সর্বমোট ৭৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ায় জনশক্তি রফতানিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আরও বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রবামী মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত চমৎকার সর্ম্পক বিরাজ করছে। সউদী নিয়োগকর্তারা বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। জনশক্তি রফতানির গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করে শ্রমজাবার সম্প্রসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিএমইটির তথ্যে দেখা যায়, ২০২১ সালে মোট জনশক্তি রফতানির মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জনই গেছেন সউদী আরবে। অর্থাৎ ৭৪ শতাংশই গেছেন সউদী আরবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন ২৯ হাজার ২০২ জন, কুয়েতে ১ হাজার ৮৪৮ জন, ওমানে ৫৫ হাজার ৯ জন, কাতারে ১১ হাজার ১৫৮ জন, বাহরাইনে মাত্র ১১ জন, লেবাননে ২৩৫ জন, জর্ডানে ১৩ হাজার ১১৬ জন, লিবিয়ায় ৩ জন, সুদানে ৩৯ জন, মালয়েশিয়ায় ২৮ জন, সিঙ্গাপুরে ২৭ হাজার ৮৭৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০৮ জন, ইউকেতে ১২৩ জন, ইতালিতে ৬৫৩ জন, জাপানে ৩ জন, ব্রæনাইয়ে ১২ জন, মরিশাসে ২১৫ জন এবং ইরাকে গেছেন ৫ জন।

অপর দিকে বিদেশে নারী কর্মীর কর্মসংস্থান আগের বছরগুলোর চেয়ে বেড়েছে। ২০২১ সালে ৮০ হাজার ১৪৩ জন নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। জানুয়ারিতে গেছেন ৪ হাজার ৬৬৯ জন, ফেব্রæয়ারিতে ৬ হাজার ৩৮২ জন, মার্চে ৮ হাজার ২৯৭ জন, এপ্রিলে ৫ হাজার ২৩৯ জন, মে মাসে ৪ হাজার ২৩৮ জন। নারী কর্মীদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি সউদী আরবে গেছেন ৪৬ হাজার ৩৬১ জন। এর পরে জর্ডানে ১১ হাজার ৬৯৭ জন, আর ওমানে গেছেন ৭ হাজার ৬৪৫ জন নারী কর্মী।

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার গতকাল সোমবার ইনকিলাবকে বলেন, জনশক্তি রফতানিতে সুবাতাস বইছে। গত ডিসেম্বরে আমরা জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড গড়েছি। এরই মধ্যে দুটি সুসংবাদ এসেছে।

চার বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ফের দেশটিতে শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশের আরো ৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নতুনভাবে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। শিগগিরই এসব রিক্রুটিং এজেন্সি দেশটিতে কর্মী প্রেরণ শুরু করবে। এ ব্যাপারে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে বায়রা সভাপতি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ভাব চলছে। তার পরেও সউদীর শ্রমবাজার চলমান থাকলে চলতি বছরে জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলেও বায়রা সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরকার ১ জানুয়ারি থেকে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করেছে। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রতি ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত ৭ মাসের মধ্যে এটিই প্রবাসীদের পাঠানো সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। যদিও চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের গড়ে যেভাবে রেমিট্যান্স এসেছিল সে তুলনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে কিছুটা কমে গেছে। এ কারণে পুরো মাসেই কমেছে রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন