ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে এবার আসরে নামলেন পোপ ফ্রান্সিস। এই প্রথমবার সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে লড়াই থামানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের অধিকৃত চারটি অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান।
গতকাল রবিবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে ইউক্রেনের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়ে বার্তা দেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে তিনি বলেন, “আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ভিক্ষা করছি, অন্তত নিজেদের মানুষের কথা ভেবে (ইউক্রেনে) হিংসা ও মৃত্যু থামান। সেখানে রক্তের নদী বইছে। চোখের পানির নদী বইছে।”
একইসঙ্গে, ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক (একত্রে ডনবাস), জাপোরোজিয়া ও খেরসন অঞ্চলের রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির নিন্দা করেছেন ফ্রান্সিস। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছেও যুদ্ধ থামানোর আরজি জানিয়েছেন তিনি। ভ্যাটিকানের এক আধিকারিকের কথায়, পোপের আবেদন এতটাই আন্তরিক ছিল যে তা কিউবান মিসাইল সংকটের সময় ‘দ্য গুড পোপ’ বা পোপ জন XXIII-এর শান্তি প্রার্থনার কথা মনে করিয়ে দেয়।
এদিকে, ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করলেও কিয়েভকে বাগে আনতে পারছে না পুতিন বাহিনী। সময়ের সঙ্গে রুশ ফৌজকে দ্রুত পালটা মার দিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ঘোষণা করেছেন, ডোনেৎস্ক এলাকার লিম্যান শহর পুরোপুরি রাশিয়ার দখলমুক্ত করেছে কিয়েভের বাহিনী। লিম্যান শহরের প্রবেশপথে নীল-হলুদ রঙের ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা হাতে দুই সেনার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে একই সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও ঘনীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও কিন্তু ক্রমশ পায়ের তলায় শক্ত জমি ফিরে পাচ্ছে কিয়েভ। গত জুলাই মাসে, স্নেক আইল্যান্ড হাতছাড়া হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া। সূত্র: এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন