শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জেলা সম্মেলন নিয়ে বগুড়ায় বিএনপি কর্মীরা হতাশ-ক্ষুব্ধ

নেপথ্যে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ দুই নেতার

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সম্মেলন হচ্ছে হবে করে সোয়া তিন বছর পার হয়ে গেল বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বয়স। সম্মেলন আর হয়নি। ফলে নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই এ বিষয়ে ভিষণ ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে।

হতাশ নেতা কর্মীরা বলছেন, ভিপি সাইফুল ইসলাম ও জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন বগুড়া জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে দল পরিচালনায় ব্যর্থতার অভিযোগ ছিলো অনেকের। ভিপি সাইফুল বিরোধী গ্রুপের নেতা এমপি লালুর নেতৃত্বে তারেক রহমানের কাছে একাধিকবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভেঙে দেওয়া হয় ওই কমিটি।

সাবেক এমপি জিএম সিরাজকে আহ্বায়ক, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে ১ নম্বর ও ফজলুল বারী তালুকদার বেলালকে ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন মাসের মধ্যে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতার নির্দেশনা থাকলেও বগুড়া সদরে এমপির উপনির্বাচন, করোনার প্রকোপ ইত্যাদির অজুহাতে ক্রমাগতভাবে পেছাতে থাকে জেলা সম্মেলনের তারিখ।

ফলে অনেকটা বিরক্ত হয়ে গত বছরের নভেম্বরে জিএম সিরাজকে আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হওয়া হয়। নতুন আহ্বায়ক করা হয় সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাকে। এরপর এক মাসের মধ্যে (২০২১ সালের ডিসেম্বর) ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, উপজেলা ও জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্দেশনা ছিল তার ওপর। সর্বশেষ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা সম্মেলনের ডেডলাইন বেঁধে দেয় কেন্দ্র।
এখন সেই সেপ্টেম্বর পার হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ব্যাপকভাবে দলের সম্মেলন, কমিটি ও প্যানেলে নাম রাখার সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলের মধ্যে। অতি সম্প্রতি শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে গ্রুপিং করাকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে রীতিমতো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

অভিযুক্ত জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের দিয়ে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা। এদিকে ছয়মাস আগে অনুষ্ঠিত বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা আজ পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেননি অথবা করতে পারেনি।
এমন অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সভাপতি প্রার্থী মাহিদুল ইসলাম গফুর ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শামীম রেজা। এই দু’জনের আশঙ্কা বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির কমিটিতে হয়তো তাদেরকে রাখা নাও হতে পারে।

এই দু’জনের মতে, বগুড়া জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি সরকারি দলের সাথে লিয়াজোঁ রক্ষা, দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি, কমিটি বাণিজ্যের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে তাতে অবিলম্বে বিদ্যমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা এখন সময়ের দাবি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohmmed Dolilur ৫ অক্টোবর, ২০২২, ১:৪৭ এএম says : 0
তোমরা পদ নিয়ে হানা হানি করলে কি ভাবে দেশ সাধীন করবে,প্রথমে এক সাথে মিলে মিশে দেশ সাধীন করবে পরে পদ নিয়ে নিবে,এই মুহূর্তে পদ নিয়ে হানা হানি করা সময় নেই,এখন সময় দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা ও,যে দেশে কথা বলার অধিকার নেই সেই দেশে থেকে পদ নিয়ে কি লাভ,আগে দেশ সাধীন করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন