যশোরে শিশু সানজিদা জান্নাত মিষ্টি হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আরবপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে গতকাল বেলা ১১ টায় প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে ডিসি অফিস চত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে এলাকাবাসী। এতে ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে অংশ নিয়ে হত্যাকাÐে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান নিহত শিশু সানজিদার মা-বাবা। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় জেলা প্রশাসক চত্বরে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গ ত ১ অক্টোবর দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় সানজিদা জান্নাত মিষ্টি। তাকে খুঁজে না পেয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় জিডি করলে ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে সানজিদার প্রতিবেশী আঞ্জুয়ারা বেগমকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বাড়ির চালের ড্রাম থেকে সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সানজিদার পিতা সোহেল রানা আঞ্জুয়ারার স্বামী রেজাউলসহ ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আঞ্জুয়ারার দুই সহযোগী আসামি আব্দুল মালেক গাজী ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে আটক করে। সানজিদা হত্যাকাÐের ঘটনায় আটক আঞ্জুয়ারা খাতুনকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়। তবে এ মামলার আসামি আঞ্জুয়ারার স্বামী রেজাউল পলাতক রয়েছে। তিনি পূর্ব আক্রোশে সানজিদাকে খুন করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনায় আঞ্জুয়ারার আরো দুই সহযোগী আব্দুল মালেক গাজী ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে সোমবার আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেছেন, সানজিদা জান্নাত মিষ্টি হত্যাকাÐের ঘটনায় তিন আসামি কারাগারে। এখনো এক আসামি পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন