বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারত ভেঙ্গে হতে পারে মুসলিম ও খ্রিস্টান রাষ্ট্র, আরএসএস প্রধানের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২২, ২:০৫ পিএম

ভারতে ‘ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাসের বদল’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেইসাথে তিনি আফ্রিকার দক্ষিণ সুদান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পূর্ব-তিমোর এবং ইউরোপের কসোভোর উদাহরণ টেনে ভবিষ্যতে ‘দেশ ভাঙার সম্ভাবনার’ দিকে ইঙ্গিত করে ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষেও মন্তব্য করেছেন।

ভাগবত বুধবার নাগপুরে সঙ্ঘের দশেরা উৎসব কর্মসূচিতে বলেন, ‘ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সরকারি নীতির প্রয়োজন। ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাস নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করা হলে ভবিষ্যতে দেশ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।’

তার কথায়, ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি, ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার ভারসাম্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উপেক্ষা করা যায় না।’

‘ধর্মভিত্তিক জনবিন্যাসের বদলের’ কারণেই সুদান ভেঙে দক্ষিণ সুদান, সার্বিয়া ভেঙে কসোভো এবং ইন্দোনেশিয়া ভেঙে পূর্ব তিমোরের মতো নতুন দেশ গঠিত হয়েছে বলেও বক্তৃতায় মনে করিয়ে দিয়েছেন ভাগবত।

উল্লেখ্য, ইসলামি রাষ্ট্র সুদানের অ-ইসলামি জনজাতি প্রধান অঞ্চল নিয়ে ২০১১ সালে গঠিত হয়েছিল দক্ষিণ সুদান। ২০০৮ সালে খ্রিস্টানপ্রধান সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয় মুসলিমপ্রধান কসোভো। ২০০২ সালে ইসলামি রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা হয়ে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে খ্রিস্টান প্রধান পূর্ব তিমোর।

সরাসরি নাম না করলেও সরসঙ্ঘচালক সুদর্শন তার বক্তৃতায় দেশে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে ২০১৫ সালে আরএসএস অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (এবিকেএম)-তে গৃহীত একটি প্রস্তাবের প্রসঙ্গও তুলেছেন তারা। ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘মূল ভারতীয় ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা ৮৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮ শতাংশে। মুসলিমদের জনসংখ্যার হার ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.২৩ শতাংশ।’

গত বছর আরএসএসের প্রতিষ্ঠা দিবসের বক্তৃতায় ওই প্রসঙ্গ তুলে ভাগবত বলেছিলেন, ‘এ দেশের নিজস্ব ধর্মের মানুষদের জনসংখ্যা ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে গত ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে। অন্য দিকে, ওই দশকে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। মণিপুরে মূল ভারতীয় ধর্মের জনসংখ্যা ৮০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Mozammel Hoque Faruk ৫ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৪ পিএম says : 0
তার এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমরা মুসলিম উম্মাহ ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Md Tonmoy ৫ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৪ পিএম says : 0
বাংলাদেশের মানুষ চাই ভারত অতি তাড়াতাড়ি ভেঙে টুকরো টুকরো হোক। বাংলা বিহার উড়িশ্যা বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হোক।
Total Reply(0)
Kothamala ৫ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৪ পিএম says : 0
হতে পারে মুসলিম নিধনের নয়া কৌশল, এটাও নতুন কিছু নয় | ভারত বিভক্ত হবেই, তা কিছুকাল সময় আগে অথবা পরে | কমেন্ট বক্সে যেভাবে মানুষ দো'আ আর্শীবাদ করছে, তা দেখে মনে হয় ভারত বিভক্ত হওয়ার সময় বেশি দূরে নয় | নতুন স্বাধীনতাকামীদের জন্য শুভ কামনা |
Total Reply(0)
কাজী আতাউর রহমান মিলন ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১১:১৭ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আছে। প্রত্তেকটা মুসলমানের হয়ে। আর ওদের আছে হাতে বানানো মাটির পুতুল। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ মুমিনদের প্রতি রহমত নাজিল করুন আমীন।
Total Reply(0)
MD.YEASIN ৫ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৩ পিএম says : 0
Yes
Total Reply(0)
Nazmul Hoque Bhuiyan ৫ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৪ পিএম says : 0
কারন আর এস এস এর অত্যাচার মানুষ সহ্য করতে পারছেনা।
Total Reply(0)
আবুল বাশার হাওলাদার ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১:৪২ পিএম says : 0
সব ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করতে পারলে ভালো। তবে সহিংসতা বিদ্বেষ নিয়ে বাস করা যায় না। তাই ভারত যেভাবে সহিংসতার দিকে যাচ্ছে তাতে ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
Total Reply(0)
Abul Khair Shahjahan ৭ অক্টোবর, ২০২২, ৭:১৩ পিএম says : 0
ভারত ও মায়ানমার দুই দেশ ভাঙতে পারে আমাদের বাংলা বিহার, ও আরাকান দিয়ে এবার ভেঙ্গে যাক
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন