শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মহানবীর (সা.) শান্তির বার্তা দুনিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে

সিলেটে তালামীযে ইসলামিয়ার মীলাদুন্নবীর (সা.) র‌্যালি পূর্ব বক্তৃতায় আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কমিটির উদ্যোগে গতকাল সিলেট নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মুবারক র‌্যালি’। সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে। সকাল ১০টা থেকে যুহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী (সা.) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী ও অতিথিবৃন্দ। বাদ যুহর শুরু হয় র‌্যালি। র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মানবতা বিবর্জিত জমীনে মানবতা ও শান্তির পয়গাম নিয়ে তাশরিফ এনে ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর সর্বজনীন শান্তির বার্তা দুনিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন পৃথীবিতে এসেছিলেন। তখন ভালোবাসা বলতে কিছু ছিল না, ছিল শুধু হানাহানি। মজলুমের আর্তনাদে ছিল আকাশ ভারী। সমাজের রীতি ছিল খুনকা বদলা খুন। নারী মানে ছিল বঞ্চিতা, লাঞ্চিতা আর ভোগ বিলাসের পণ্য। এমনি সময়ে মানুষকে প্রকৃত মানবিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। তাঁর জীবনদর্শনে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র জীবনের সর্বোত্তম ও পরিপূর্ণ আদর্শ নিহিত রয়েছে। সে আদর্শ অনুসরণে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রিয়নবীর প্রতি যেমন সর্বোচ্চ ভালোবাসা লালন করতে হবে তেমনি তাঁর সুমহান আদর্শ অনুসরণ, চর্চা ও প্রচার-প্রসারে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

র‌্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মো. জাহেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এস এম মনোয়ার হোসেন, সদস্য কবির আহমদ ও কাওছার হামিদ সাজু এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি।

প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র মুহতারাম সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। বিশেষ বক্তা ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান আহমদ।

অতিথি ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা একেএম মনোওর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শেখ মখন মিয়া, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অ্যাড. মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর নুমান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ এর অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, রাগিব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আরমান আহমেদ শিপলু।

অতিথি ছিলেন তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, মাওলানা বেলাল আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান, মুহা. শরীফ উদ্দিন, মাওলানা মুহিবুর রহমান, মাওলানা হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ উসমান গণি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, আনজুমানে আল ইসলাহ’র সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন