শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

আগামী নির্বাচন : বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয়ের জন্যই অগ্নিপরীক্ষা

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আজ প্রথমে চেয়েছিলাম ভারত বিভাগ বিশেষ করে, পাঞ্জাব ও বাংলা বিভাগ নিয়ে লিখবো। তবে দেশের যে অবস্থা দেখছি, সেটি মোটেই সুখকর নয়। একটি অজানা আতঙ্ক অনেকের মনেই বাসা বেঁধেছে। তাই সেই বিষয়টি নিয়েই আজ লিখবো। তবে ভারত বিভাগ নিয়ে কেন লিখতে চেয়েছিলাম সেটিরও কারণ আছে। কারণটি হলো, ইদানিং প্রগতির মুখোশধারী কিছু পত্রপত্রিকায় মুক্তবাকধারী কিছু ‘বুদ্ধিজীবী’ সরাসরি লিখছেন যে, ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগ ভুল ছিল। ২০১২ সালে বিখ্যাত কলামিস্ট কুলদীপ নায়ারের একটি পুস্তক প্রকাশ করেছে এই দেশেরই একটি ইংরেজি পত্রিকা। ঐ বইটিতে কুলদীপ নায়ার তার সুদীর্ঘ জীবনের (মি. নায়ার ৯০ বছরের বেশি বেঁচে ছিলেন) বিভিন্ন ঘটনাবলী স্মৃতিচারণ রূপে ঐ বইয়ে উল্লেখ করেছেন। তার মধ্যে একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে ভারত বিভক্তির ঘটনা। কুলদীপ নায়ার স্পষ্ট বলেছেন যে, এটি বিরাট একটি ভুল ছিল। এর ফলে নাকি ভারতের মুসলমানদেরই ক্ষতি হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আর কোনো কথা বলবো না। বাংলাদেশেও যারা এই ধরনের বই প্রকাশ করেন তারা কোন মতাবলম্বী? যদি ’৪৭ সালে ভারত বিভাগ তথা বাংলা বিভাগ না হতো তাহলে অখণ্ড ভারত থেকে যেত। সেক্ষেত্রে যে বাংলাদেশকে নিয়ে তারা সর্বক্ষণ বুক ফুলিয়ে রাখেন (আমিও রাখি) সেই বাংলাদেশ কোথায় পেতেন? এর সাথে সাথে এসে পড়বে অনেক প্রশ্ন। আমি কথা দিচ্ছি, একটি নয় দুটি নয়, অনেকগুলো পয়েন্ট নিয়ে আমি ভারত বিভক্তির ওপর ধারাবাহিক লেখা লিখবো। ভারত বিভক্তির ওপর ইতোমধ্যে অসংখ্য বইপত্র এবং রচনাবলী প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমি যেসব পয়েন্ট উল্লেখ করবো সেগুলোর অধিকাংশই সম্মানিত পাঠক ভাইদের অজানা। কারণ, কতগুলো নিরেট সত্য ইতোমধ্যে প্রকাশিত রচনাবলীতে চেপে যাওয়া হয়েছে। আমি সেগুলো উল্লেখ করবো। তবে এখানে একটি ব্যাপার আছে। সেটি হলো, আমি তো লিখতে পারবো, কিন্তু তার প্রকাশনা নির্ভর করবে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।

এখন আসছি আজকের বিষয়ের ওপর। সারাদেশের সচেতন মানুষ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ইতোমধ্যেই সুস্পষ্টভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একদিকে আওয়ামী লীগ এবং তার অধীনে আওয়ামী ঘরানার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য দল বা গ্রুপ। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিরোধী মতাদর্শের ঘরানার লোকজন। আমাদের দেশে মাঝে মাঝে রাজনীতির একটি অত্যন্ত সহজ সরল সমীকরণ করা হয়। সমীকরণটি এরকম: তুমি হয় আওয়ামী লীগ আর যদি তা না হয় বিএনপি। কিন্তু এবারের সমীকরণটি অত সহজ সরল নয়। জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে সবগুলো ইসলামী দল আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার ১৪ বছরের শাসনামলে কিছু কিছু ইসলামী দলকে তিনি তার দিকে টানতে পেরেছেন।

আবার এর উল্টোটাও ঘটেছে। ২০১৪ সাল থেকে জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামে বিশ^াসী হলেও আওয়ামী শিবিরে কাতারবন্দী হয়। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ ছিল। সেগুলো আজকে আলোচনায় আনছি না। তবে কঠিন সত্য হলো এই যে, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী শিবিরে ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি প্রথমে আওয়ামী শিবিরে থাকলেও মন্ত্রিসভা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়। তারপরেই জাতীয় পার্টি সরকার বিরোধী কথা বলতে শুরু করে। এখন জাতীয় পার্টি দুইটি উপদলে বিভক্ত। একটি হলো জেনারেল এরশাদের আপন ছোট ভাই জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। আরেকটি হলো জেনারেল এরশাদের পত্নী বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। জি এম কাদের এখন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গরম গরম কথা বলছেন। পক্ষান্তরে বেগম রওশন এরশাদ নিঃশর্তভাবে আওয়ামী লীগের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। দেশে নির্বাচন হতে এখনও ১৫ মাস বাকি। এই ১৫ মাসে নতুন কোনো সমীকরণ অথবা মেরুকরণ হয় কিনা সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

॥দুই॥
কিন্তু যে রাজনৈতিক সংকটের কথা বলছি, সেটির সাথে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নাই। এটি হলো নির্বাচন সংক্রান্ত রীতিনীতির প্রশ্ন। এই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ এবং তার অনুগতরা এবং বিএনপি এবং তার মিত্ররা একেবারে সেই ইংরেজি ভাষার ‘আই বল টু আই বল’ অবস্থানে। সেই অবস্থান কারো অজানা নয়। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে এবং জাতীয় সংসদকে বহাল রেখে বিএনপি এবং তার মিত্ররা নির্বাচনে যাবে না। পক্ষান্তরে কেউ ইলেকশনে আসুক আর না আসুক, আওয়ামী লীগ বর্তমান সংবিধানের অধীনে অর্থাৎ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় রেখে, জাতীয় সংসদ বহাল রেখে নির্দিষ্ট সময়ে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর।

গতবার ইলেকশন নিয়ে বিএনপি অনেক গাই গুই করলেও শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে ইলেকশনে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে মাত্র ৬টি আসন দিয়েছিল। সকলে ধারণা করেছিল, বিএনপি হয়তো ঐ সংসদ বর্জন করবে এবং ঐ ৬ জন এমপি শপথ নেবেন না। কিন্তু সকলের জল্পনা-কল্পনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিএনপির ঐ ৬ জন এমপি শপথ গ্রহণ করেন এবং আজও তারা এমপি হিসাবে বহাল আছেন। এবারও শেষ মুহূর্তে ঐ ধরনের কিছু ঘটনা ঘটবে বলে দেশে প্রবল জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। কিন্তু গত ৩ অক্টোবর সোমবার থেকে ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপি তার বিভিন্ন বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কয়েকজন জেলা নেতাকে নিয়ে ম্যারাথন বৈঠকে বসে। চারদিনের ঐ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়। জেলা এবং বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ গতবারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা খোলাখুলি প্রকাশ করেন। তারা জানতে চান যে, বিগত ৪ বছর ধরে এত জুলুম, এত অত্যাচার এবং এত রক্তপাতের পরেও এবারেও গতবারের মতো শেষ মুহূর্তে কোনো নাটকীয় ঘটনা ঘটবে কিনা। কেউ কেউ একথাও বলেন যে, বাজারে গুজব রয়েছে যে, এবারের ইলেকশনে বিএনপিকে ১০০টি আসন দেওয়া হবে। এই ধরনের একটি টোপ দিয়ে বিএনপিকে ইলেকশনে আনা হবে। শীর্ষ নেতা তারেক রহমান থেকে শুরু করে ঐ ম্যারাথন সভার প্রায় সকলেই একবাক্যে, দৃঢ়কণ্ঠে এই ধরনের গুজব নাকচ করে দেন। তারা আরো বলেন যে, যদি দলের ভেতরে কেউ এই ধরনের বেইমানী করে তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে এবং চূড়ান্ত অপমান করা হবে। সভায় উপস্থিত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে বিভাগীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ পর্যন্ত একবাক্যে বলেন যে, এবার হয় করবো, নাহয় মরবো। তারা শুধু এবার নির্বাচন বর্জনই করবেন না, সেই নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেবেন না। আরেকটি বিষয় তারা স্পষ্ট করেছেন। তারা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ এপর্যন্ত বিএনপির ওপরে লাঠিসোঁটা এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। এবার ডিসেম্বরের পর উপযুক্ত সময়ে এই সরকারকে গদিচ্যুত করার জন্য এক দফার সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হবে। সেই আন্দোলনে বিএনপি সরকার পক্ষের ওপর কোনো আঘাত হানবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি একটি আঘাত হানে তাহলে বিএনপি এবং তার মিত্ররা দুইটি আঘাত হানবে। আওয়ামী লীগ এবার বড়াই করে বলেছে যে, তারাই মাঠ দখলে রাখবে। বিএনপিও এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে যে, তারাই এবার মাঠ দখলে রাখবে। মাঠ দখলে রাখার জন্য বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে।

 


॥তিন॥
এবার পরিস্থিতিটা গতবারের চেয়েও ঘোলাটে এবং ভয়ঙ্কর। বিএনপি ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের সাথে সেকেন্ড রাউন্ডের আলাপ-আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। একই সাথে তারা আন্দোলনের ভিত্তি হিসাবে ৯ দফা দাবিনামা প্রণয়ন করেছে। তার মিত্রদের সাথে এই দাবি নিয়ে আলোচনা হবে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই আলাপ-আলোচনা শেষ হবে, দাবিনামা চূড়ান্ত হবে এবং মিত্রদের সাথে মিলে কবে থেকে একদফা আন্দোলন শুরু হবে এবং আন্দোলনের মোডাস অপারেন্ডি বা পদ্ধতি ও কৌশল নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে এবং সেটি চূড়ান্ত করা হবে। অন্যদিকে সরকারও তার অবস্থান থেকে, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা এবং বর্তমান সংসদকে বহাল রেখে নির্বাচন করার সংকল্পে অটল। এখন উভয় পক্ষেরই অবস্থান হলো, ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদিনী’। ২০০৮ সাল থেকে যা দেখা যায়নি, এবার তা দেখা যাচ্ছে। বিএনপির সভা এবং মিছিলে তাদের নেতাকর্মী ছাড়াও জনগণকেও দেখা যাচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে যে, তাদের আন্দোলনের সাথে পূর্ণাঙ্গভাবে না হলেও ধীরে ধীরে জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে। বিএনপি যদি অকস্মাৎ আন্দোলনের কর্মসূচী থেকে সরে না যায় তাহলে এই জনসম্পৃক্ততা আরো বাড়বে।

অতীতে কোনোদিন আওয়ামী লীগকে গণআন্দোলন মোকাবেলা করতে হয়নি। এবারই দেখা যাচ্ছে, যদি অকস্মাৎ কোনো আপোস-মীমাংসা না হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে এই সর্ব প্রথম গণআন্দোলন এবং জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে মোকাবেলা করতে হবে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই যে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে অর্থাৎ আজ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতেই হবে। যদি নির্বাচন না হয় তাহলে দেশে বিরাট সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে। সকলেই জানেন, এই রকম সাংবিধানিক সংকট গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য বিরাট একটি হুমকি। এর আগে যখন সংকট সৃষ্টি হয়েছিল তখন স্যার নিনিয়ান স্টিফেনস এবং জাতিসংঘের তরফ থেকে দূতিয়ালি করার জন্য তারানকো এসেছিলেন। তাদের দূতিয়ালি ব্যর্থ হয়েছে। এবার কি ঐরকম কোনো দূতিয়ালি হবে? আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে কোনো আপোস-মীমাংসা কি হবে? যদি এগুলোর কোনোটিই না হয় তাহলে শুধু এটুকু বলতে পারি, দেশের রাজনৈতিক দিগন্তে ঘন কালো মেঘ জমবে। এটি ইতোমধ্যেই জমতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটি ভবিষ্যতের গর্ভেই নিহিত।

Email: journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Sheikh Asad Uddowla Masud ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
অ‌গ্নি নয় ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা
Total Reply(0)
Harun Bhuiyan ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০০ এএম says : 1
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমেই এই দেশ এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Fahim Sultan ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৮ এএম says : 1
২৩ সালের পর আর হাসিনা থাকছে না। এটা আমেরিকা ও বাংলাদেশের আর্মির মধ্যে অলিখিত চুক্তি । ২০১৮ সনেই- চলে যেতে হত- তবে ভারতের সুপারিশে-শেখ মুজিবের জন্ম শত বর্ষ, বাংলাদেশের ৫০ তম জন্ম দিবস, ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন - এই ৩ টা কাজের জন্য ২০২৩ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এবার চলে যেতে হবে - ইনশাল্লাহ,
Total Reply(0)
মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:০০ এএম says : 0
আওয়ামীলীগ বা বিএনপি নয়, আগামী নির্বাচন হবে জনগণের জন্য অগ্নিপরীক্ষা,
Total Reply(0)
Munna Rahman ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
হয়তো কেউ ভাবছে “ক্ষমতা ছাড়লেই আমি শেস” আর কেউ ভাবছে “ইলেকশনে জয় নিশ্চিত”
Total Reply(0)
Masud Rana ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৫৯ এএম says : 0
আগামী নির্বাচন জাতির জন্যেই অগ্নি পরিক্ষা।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন