শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আরো অনেক দেশ জঙ্গিবিমান দেয়ার জন্য প্রস্তুত : এরদোগান

ইরাকে তুরস্কের ঘাঁটিতে ভয়াবহ রকেট হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এফ-১৬ ফাইটার জঙ্গি বিমান না দিলে আরও অনেক দেশ জঙ্গি বিমান দেয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন। খবর মিডলইস্ট মনিটর। তিনি বলেন, এর আগে ওয়াশিংটন আঙ্কারাকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছিল। তখন তার দেশ রাশিয়া থেকে এস-৪০০ সিস্টেম কেনার মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করেছে। তেমনিভাবে যদি যুক্তরাষ্ট্র আঙ্কারার এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের চাহিদা পূরণ না করে, তাহলে অনেক দেশই কিন্তু তা পূরণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তুরস্কের মানবাধিকার ও বৈদেশিক নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্কের সম্পর্ক শীতল হয়ে এসেছিল।তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাইডেন প্রশাসন তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে। গেল সাত মাসে তুরস্ক তার নিরপেক্ষ অবস্থায় বজায় রেখে যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে নানা ধরনের সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে।বেশকিছু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও গত জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পেছনে বড় অবদান ছিল তুরস্ক তথা দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের। ফলে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একরকম বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র। গত জুনে মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনের সাইড লাইনে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসে তুরস্কের কাছে এফ-১৬ বিক্রির অনুমোদন চান। সে সময় বাইডেন বলেছিলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, তাদের কাছে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান বিক্রি করা উচিত। তিনি আরও বলেন, আশা করি কংগ্রেস এতে অনুমোদন দেবে। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদন দেয়নি। কংগ্রেসের আইনপ্রণেতাদের প্রভাবশালী একটি অংশের আশঙ্কা, মার্কিন যুদ্ধবিমান পেলে তুরস্ক সেগুলো গ্রিসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। অপর এক খবরে বলা হয়, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে জেলিকান এলাকায় অবস্থিত তুরস্কের ঘাঁটিতে ভয়াবহ রকেট হামলা হয়েছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুর্দি গ্যারিলাদের দমনে স্থাপিত ওই তুর্কি সামরিক ঘাঁটিতে স্থানীয় সময় শনিবার তিনটি রকেট হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি গিয়ে সামরিক ঘাঁটিতে এবং অপরটি ৬ কিলোমিটার দূরে বাশিকা নামে একটি গ্রামে গিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। এ ঘাঁটি থেকে সম্প্রতি কুর্দিস্তান ওয়ার্কারর্স পার্টির (পিকেকে) বিভিন্ন অবস্থানে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। ধরণা করা হচ্ছে, এসব হামলার প্রতিশোধ নিতেই পিকেকের গ্যারিলারা এ হামলা চালিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে পিকেকের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় তুরস্ক। ২০১৫ সাল থেকে তুরস্ত এ অভিযান আরও জোরদার করে। মিডলইস্ট মনিটর, স্পুটনিক নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন