দেশের প্রথম সিনেপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স ১৮ বছর পূর্ণ করেছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে এই সিনেপ্লেক্স। দর্শকদের জন্য সুন্দর পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সাউন্ড সিস্টেমসহ দর্শকদের আকৃষ্ট করে প্রেক্ষাগৃহটি। ইতোমধ্যে এই সিনেপ্লেক্স দেশব্যাপী ছড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি শাখা চালু হয়েছে। ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ মহাখালিস্থ এসকেএস টাওয়ার শাখায় আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান একসঙ্গে ৪টি সিনেমা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলা সিনেমায় এখন নতুন হাওয়া বইছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৮ সালে আমরা খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, আমাদের মতো করে বাংলা সিনেমা পাচ্ছিলাম না। সেই হতাশা থেকেই ‘ন ডরাই’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছি এবং দারুণভাবে সফল হয়েছি। এরপরই করোনার কবলে পড়ি। আমাদের হলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আমরা খেয়ে না খেয়ে তখন নিজেদের টিকিয়ে রেখেছিলাম। আশার কথা, আবারো আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমাদের সিনেমাও জেগে উঠেছে। আমরা ৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। স্ক্রিপ্টের কাজ চলছে। আশা করছি, আগামী বছর অন্তত ৩টি সিনেমা মুক্তি দিতে পারবো। তিনি স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা জানান। চট্টগ্রাম, বগুড়া, রাজশাহী, কক্সবাজার, সিলেট, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর শাখা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বরেন, ১৮ বছরে আমরা ১৮টি স্ক্রিন দিতে পেরেছি। আমার লক্ষ্য, একশ’ স্ক্রিন। সেই লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছি। এরমধ্যে অনেকগুলো জেলায় প্রজেক্ট চলছে, কিছু জেলায় জায়গা খুঁজছি। আমার বিশ্বাস, আমরা যদি ১০০ স্ক্রিন যোগ করতে পারি, তাহলে সিনেমা হলের সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। উল্লেখ্য, সার্ফিং নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের ‘ন ডরাই’ সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৬টি শাখায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমানে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে স্টার সিনেপ্লক্সের প্রথম শাখা ছাড়াও ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার এবং মহাখালীর এসকেএস টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার এবং সামরিক জাদুঘরে এর শাখা রয়েছে। চট্টগ্রাম এবং বগুড়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে নতুন শাখা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন