ইলিশের প্রদান প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করতে যাওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৪ জেলেকে আটক করে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় জেলেদের কাছ থেকে ৩লাখ মিটার জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
বুধবার সকালে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার। এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চরফকিরা-মুছাপুর ইউনিয়ন ও উড়িরচর এলাকার মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাতে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে কয়েকজন জেলে প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেলে চরফকিরা-মুছাপুর ও উড়িরচর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে মুছাপুর-চরফকিরা সীমান্ত এলাকার মেঘনা নদীর পাড় থেকে ৩লাখ মিটার ইলিশ জালসহ ৪ জেলেকে আটক করা হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ শিকারে যাওয়ার চেষ্টার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সবাইকে ১২হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবা উল আলম ভ‚ঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে আগামি ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। আইন লঙ্গনকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়তার লক্ষে সরকার ঘোষণা অনুযায়ি গত ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামি ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন