শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডেকে নিয়ে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ঘটনাস্থল রাজধানীর ধানমণ্ডি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অনলাইনে অর্ডার পেয়ে বাসায় বাসায় গিয়ে বিউটি পার্লারের কাজ করতেন এক নারী (২৫)। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এমনই এক ফোনকল পেয়ে সেখানে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই নারী। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বলছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল ভুক্তভোগী নারীর বড় ভাই সাংবাদিকদের বলেন, এক নারীর কাছ থেকে অনলাইনে বিউটি পার্লারের অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির একটি বাসায় যায় আমার বোন। সেখানে সে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের বিউটি পার্লারের কাজ করে দেয় আমার বোন। মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডি থেকে এক নারী তার পার্লারের কাজ করানোর জন্য ফোন দেন। পরে সাভার থেকে রাইড শেয়ারিংয়ে ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছে এলে ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে আমার বোনকে রিসিভ করান। এরপর ওই বাসার দোতলায় নিয়ে একটি রুমের ভেতরে তাকে ঢোকানো হয়। এসময় পার্লারের কাজ করানোর কথা বলা ওই নারী টাকার বিনিময়ে তিনজন পুরুষের কাছে ভুক্তভোগী নারীকে দিয়ে যায়। অভিযুক্তদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে।

তিনি আরও বলেন, তিনজন পুরুষ আমার বোনকে নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করে। না খেলে মারধর করে। পরে জোর করে দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনজন ধর্ষণ করে। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। বের করে দেয়ার আগে হুমকি দিয়ে বলা হয়, এখান থেকে চলে যাবি, অন্যথায় তোকে মেরে ফেলবো। এসময় আমার বোন প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে ও এ ঘটনা কাউকে না বলার আকুতি প্রকাশ করে বলে, ‘আমার কাছে ভাড়া নেই, ১০০ টাকা দেন চলে যাবো।’ বাসা থেকে অনেক কষ্টে নিচে নেমে রাস্তায় এলেও অভিযুক্তরা রাস্তায় এসেও হুমকি দিয়ে বলে, সোজা বাসায় চলে যাবি।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই আরও বলেন, আমার বোন ঘটনাস্থল থেকে রিকশা নিয়ে গাবতলী পর্যন্ত আসে। তার স্বামীকে ফোন দিলে গাবতলী থেকে বোনকে নিয়ে সাভারে যায়। সাভার থেকে বুধবার ভোর ৫টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধানমন্ডি মডেল থানা থেকে পুলিশ এসে সবকিছু লিখে নিয়ে গেছে। রাতে অন্ধকার থাকার কারণে বাসার নম্বর না চিনলেও ধানমন্ডি ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের পাশে মনে আছে ভুক্তভোগীর, যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি মডেল থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ভুক্তভোগী নারীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। তার শারীরিক উন্নতি হলে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহসহ অন্যান্য কাজ করা হবে। এছাড়া যে নম্বর দিয়ে ফোন করে ডেকে আনা হয় সেই নম্বরসহ অন্যান্য ক্লু নিয়ে আমরা কাজ করছি। ঘটনায় জড়িতদের আটকে কাজ চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন