চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাটগড়ে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙরে লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজা’ ডুবিতে নিহত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মন্ডলগাতী, খলিশাখালি ও বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের উদ্ধারকৃত ৪ জনের লাশের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। স্বজনদের আহাজারীতে ৩টি গ্রামের প্রতিটি পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) মাগুরা মহম্মদপুরের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং আরও ২ জন নিখোজ রয়েছে বলে জানা যায়।
উদ্ধারকৃত নিহতরা হলেন মন্ডলগাতী এলাকার খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ বিশ্বাস(২০), নুরুল হোসেন মোল্যার ছেলে মো: শিমুল বিল্লাহ(৩৮), খলিশাখালী কামাল হোসেনের ছেলে মো: মনির মোল্লা (১৯) ও বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদহ এলাকার আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান(২৭) । এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে মন্ডলগাতী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জাহিদ ও গোলাম রসূল মোল্যার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন। তারা প্রত্যেকে ওই জাহাজে কর্মরত ছিলেন।
ভাগ্যক্রমে জাহাজে কর্মরত উপজেলার যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত লুলু মিয়ার ছেলে রুবেল ও খলিশাখালী গ্রামের রবিউল সাতরে তীরে উঠে প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনার পর তারা তাদের পরিবারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলে তাদের পরিবার জানান ।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে থাকা রবিউল বলেন, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে তারা পাথর নিয়ে জাহাজে করে তীরে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের আঘাতে তাদের জাহাজটি ডুবে যায়। সে সময় ওই জাহাজে মহম্মদপুর উপজেলার মোট ৮ জন কর্মরত ছিলেন। তার সঙ্গে রুবেল সাঁতরে তীরে ওঠতে পেরেছেন। ওই সময় মহম্মদপুরের ৬ জন নিখোঁজ হন।
এদিকে শনিবার সকালে মন্ডলগাতী, খলিশাখালী ও বাবুখালীর দাতিয়াদহ এলাকায় লাশ এসে পৌছালে কান্না আর আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠে এলাকার আকাশ বাতাস।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ৪ জনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে তবে বাকি নিখোঁজদের উদ্ধারের ব্যাপারে দাপ্তরিক ভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন