মাগুরার মহম্মদপুরের তিনটি গ্রামে গত তিনদিন ধরে চলছে শোকের মাতম। উপজেলার মন্ডলগাতী, খলিশাখালী ও দাতিয়াদহ গ্রামের পাঁচটি পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কান্না এবং আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। গত বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে তিনটায় বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পাথর বোঝাই করে ফেরার পথে এমভি আকিজ লজিস্টিকস– ২৩’এর সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি সুলতান সানজানা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজন হন মহম্মদপুরের ছয় ব্যক্তি। তাদের মধ্যে চার জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। দুইজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
সুত্রমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া চারটি মরদেহই মাগুরার মহম্মদপুরের। উদ্ধারকৃত চারটি লাশের মধ্যে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের দুইটি, নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের একটি এবং বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের একটি। শনিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে লাশগুলো নিজ নিজ গ্রামে পৌছলে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কান্নার রোল এবং আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। তিনটি গ্রামে চলছে শোকের মাতম। প্রতিবেশি ও আগত শ’ শ’ মানুষও শোকে কাতর হয়ে পড়েন।
জাহাজডুবিতে নিহতরা হলেন-উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের মৃত: খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ বিশ^াস (১৯) ও নুরুল মোল্যার ছেলে শিমুল মোল্যা (৩০), নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মনির মোল্যা (২০) এবং বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান (২৭)। মন্ডলগাতী গ্রামের নুরুল মোল্যার আরও এক ছেলে জাহিদুল মোল্যা (২৫) ও একই গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে মহম্মদ হোসেন (৪০) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তারা দুইজনও মারা গেছেন। তবে তাদের মরদেহ পাওয়া যায় নি। শনিবার সকাল ১১ টায় নিহত চার জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন