বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় মেলেনি ত্রাণ দুশ্চিন্তায় ৩ লাখ জেলে

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বেকার হয়ে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের ৩ লাখ জেলে। অথচ ১০ অতিবাহিত হলেও সরকারের কোনো খাদ্যসহায়তা পাননি তারা। জেলে পরিবারের মধ্যে যে ৯ হাজার ১৮২ টন চাল বিতরণের কথা, তা অনেক স্থানে এখনো শুরু হয়নি। এতে সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা।
তবে গত ১০ দিনে পেটের টানে মৎস্য আহরণে নদীতে নেমে এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩শ’ জেলের ৩ মাস থেকে এক বছরের করাদÐাদেশ নিয়ে জেলখানায় ঠাঁই হয়েছে। জরিমানা হয়েছে আরো বিপুল সংখ্যক জেলের। জেলে নৌকা ও ট্রলারসহ বিপুল সংখ্যক বৈধ ও অবৈধ জাল বাজেয়াপ্তসহ পুড়িয়েও ফেলা হয়েছে। এসব অভিযোগ বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপজেলার বেকার জেলেদের।
গত ৪ অক্টোবর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য শাখাÑ২ থেকে চালের বরাদ্বপত্র প্রেরণ করার ১২ দিন পরেও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক উপজেলাতেই এখনো চাল বিতরণ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। তবে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দফতরের দায়িত্বশীল মহল বিষয়টির সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
তাদের মতে, চালের বরাদ্ব হলেও জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা হয়ে ইউনিয়ন পর্যন্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে জেলেদের কাছে পৌঁছতে কম করে হলেও এক সপ্তাহ সময় লাগে। তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ১০ দিন ও বরাদ্ব প্রদানের ১২ দিন পরেও জেলেদের কাছে চাল না পৌঁছার বিষয়টি খুঁজে যত দ্রæত সম্ভব তা বিতরণের কথা বলেছেন কর্তৃপক্ষ।
খোদ বরিশাল সদর উপজেলার ৯ নম্বর টুংগীবাড়িয়া ইউনিয়নের নিবন্ধিত জেলে ইউনুস মাঝি নিষেধাজ্ঞার ৯ দিন পরেও সরকারি চাল না পাবার কথা জানিয়ে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপনের কথা বলেছেন।
একই ইউনিয়নের ফোরকান গাজী বলেন, ‘যখন ইলিশ ধরা বন্ধ থাহে তহন আপনারা আইয়্যা জিগান মোরা মাছ ধরি ক্যা। কিন্তু অবরোধ দেওয়ার আগে সরকার মোগে যে চাউল বরাদ্দ দেছে তা পাইছি কিনা কোন খোঁজ লননা। খালি মাছ ধরার সময় আইলেই আমাগোরে দেহি। তিনি বলেন, দেনার শেষ নাই, ঘরে যা আছেলে সব শেষ, এহন খামু কি। দুই হপ্তা গেলেও সরকার গোনে মোরা কিছু পাই নাই। পেডের দায় বাধ্য হইয়া মাছ ধরতে গেছি, পুলিশ আইয়া জাল লইয়া গেছে। বরিশাল জেলা মৎস্য দফতর জানায়, জেলার দশটি উপজেলায় মোট ৭৫ হাজার নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ৫১ হাজার ৭শ’ জন জন্য চাল বরাদ্ব হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার ১০ দিন পার হলেও এখনও জেলার সকল উপজেলায় সে চাল বিতরণ শুরু হয়নি। এর মধ্যে বাকেরগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় ইতিমধ্যে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন