ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা শিবপুর দারুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক আলহাজ্ব মো. ইউনুস ও তার স্ত্রী ফকির বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইয়ানুর বেগমকে রাতের অন্ধকারে হত্যার উদ্দেশ্য বর্বর হামলা ও কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী। এই হামলায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীন প্রতিবাদ ও বিচার দাবি জানান।
গতকাল রোববার বোরহান উদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের স্কুল বাড়ি এলাকার দেউলা রজ্জব আলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দেউলা শিবপুর দারুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জাকির হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধনে শুরুতে বক্তব্য রাখেন দেউলা শিবপুর দারুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা একেএম ইদ্রিস।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোরহান উদ্দিন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের বোরহানউদ্দিন উপজেলার সভাপতি মাওলানা এবিএম আহমদুল্লাহ আনসারি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জয়া মহিলা আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুল গনি, হাজির হাট ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. ইউসুফ, মজমের হাট ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো. মনিরুল ইসলাম, দেউলা শিবপুর সলেমা খানম বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা হারুনর রশীদ, রজ্জব আলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মো. মোস্তফা কুদ্দুস, সহকারী শিক্ষক মাওলানা মোস্তফা কামাল, তালুকদার বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মো. কামাল হোসেন ও ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাচরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে এ স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করে। এসময় বক্তরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন আজ সন্ত্রাসীরা এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক দম্পতিকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছেন। তাদের যদি অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা না হয় তাহলে পুরো সমাজে এই অন্যায় ছড়িয়ে যাবে। এসময় বক্তরা সহকারী শিক্ষক মো. ইউনুস ও তার স্ত্রী ইয়ানুর বেগমের সুস্থতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ঘরের গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে সহকারী শিক্ষক মো. ইউনুস ও তার স্ত্রী প্রধান শিক্ষিকা ইয়ানুর বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাদের আত্বচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা স্বর্ণঅলঙ্কার ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে বোরহান উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গত বুধবার বিকেলে লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ ও সকালে বোরহান উদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন