কত দ্রুতই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখা হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।গত ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানোর পাশাপাশি ক্লাব ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৭০০ গোলের মাইলফলক অর্জন করেছিলেন। অনন্য এ অর্জনে সমর্থক,খেলোয়াড়, ফুটবল বিশ্লেষকসহ কুড়িয়েছিলেন সব মহলের ব্যাপক প্রশংসা। আর তিনিই কিনা পরের ম্যাচে একের পর এক সহজ সুযোগ মিস করে রেড ডেভিলসদের জয় না পাওয়া অন্তরায় হয়ে গেলেন।
এদিন বিবর্ন ছিলেন ম্যান ইউর আক্রমণ ভাগের আরেক কান্ডারী র্যাশফোর্ডও।খেলোয়াড়দের সুযোগ হাতছাড়া করার রাতে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিউক্যাসলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে
এভারটনের বিপক্ষে জয়ে ভূমিকা রাখার পুরস্কার স্বরুপ এদিন ম্যাচের শুরু থেকে রোনালদোকে মূল একাদশে রেখেছিলেন ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হেগ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও আক্রমণে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিল রেড ভেভিলসরা।২৮ মিনিটে লুক শ-র বাড়িয়ে দেওয়া বল দারুণ পজিশনে থাকার পরেও জালে পাঠাতে পারেননি রোনালদো, বল জালের পাশে মারার পাশাপাশি অফসাইড হন। প্রথমার্ধের শেষ দিকেও একটি সুযোগ নষ্ট করেন এই ইউনাইটেড তারকা।জ্যাডন স্যানচো, ফ্রেডরাও এ সময় সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
বিরতির পর ৪৮ মিনিটে অ্যান্টনির পাস থেকে বলে লক্ষ্যভেদ করেও অফসাইডের কারণে গোল উদ্যাপন করতে পারেননি রোনালদো।৮৮তম মিনিটে ম্যাচ জেতার সহজ সুযোগ হারায় ইউনাইটেড। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা র্যাশফোর্ডকে ঠেকাতে পোস্ট অনেকটা সামনে চলে আসেন ক্যাসেলের গোলরক্ষক। এই সুযোগে বক্সে ফ্রেডকে পাস দেন তিনি, তবে ফ্রেড লক্ষচ্যুত শট নেন।
নির্ধারিত সময় শেষ যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের মাথায় লুক শর ক্রস থেকে র্যাশফোর্ড আরেকটু বিচক্ষণতার সাথে হেড নিলে পয়েন্ট হারাতে হত না ইউনাইটেডকে। গোলকিপারের ডান দিকে যথেষ্ট স্পেস থাকতেও বল বাইরে মারেন তিনি। নিশ্চিতভাবেই এ ম্যাচে সুযোগ নষ্ট করা ভোগাবে টেন হেগের দলকে।
১০ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল। ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নিউক্যাসল। ৯ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চারে চেলসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন