আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সাথে সাক্ষাত করার কোনো পরিকল্পনা নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। দাম বাড়ানোর জন্য তেলের উৎপাদন হ্রাস করার ওপেক+-এর সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা। ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে দেখা দেয়া জ্বালানি সঙ্কট প্রশমিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ওপেক যেন তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে বাজারকে স্থিতিশীল করে। কিন্তু সউদী আরব ও ওপেকভুক্ত দেশগুলো ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। এর ফলে সউদী আরবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন। তেলের উৎপাদন হ্রাস করার ফলে এর দাম বাড়বে। আর এতে ইউক্রেনে হামলার জন্য ব্যয় পুষিয়ে নিতে রাশিয়ার সুবিধা হবে। হোয়াইট হাউজের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জ্যাক সুলিভান রোববার বলেন, তেল উৎপাদন হ্রাস নিয়ে সউদী আরবের ভূমিকার ব্যাপারে বাইডেন ‹নিয়মতান্ত্রিক› পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সিএনএনের সাথে আলাপকালে সুলিভান বলেন, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র-সউদী আরব সম্পর্ক নতুন করে মূল্যায়ন করছেন। তবে এই সম্পর্কে শিগগিরই কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ‹তাড়াহুড়া› করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি নিয়মতান্ত্রিক, কৌশলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা হবে। কংগ্রেসেও এ নিয়ে আলোচনা হবে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে সউদী আরব ‹রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে›- যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সউদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান। তিনি তার টুইটারে বলেন, তেল উৎপাদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক+ দেশগুলো মিলে। আর তা গ্রহণ করা হয়েছে পুরোপুরি অর্থনৈতিক কারণে। আর ওই অভিযোগ ইউক্রেন সরকারের কাছ থেকেও আসেনি। আল-জাজিরা, সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন