গাজীপুরের ভোগরা থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এর আওতায় বাইপাসটি নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এ সড়কের প্রসারতার কারনে নতুন করে আরও একটি সেতু নির্মাণ কাজও চলমান। শীতলক্ষ্যায় ৮ লেন উপযোগী জোড়া সেতুর ফলে পরিবহনে যুগান্তকারী সুবিধার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও হবে।
একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এক হাজার ৭৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তায় সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) বাইপাসের কাজ শুরু করেছে। তবে এ সড়কের একমাত্র বড় নদী শীতলক্ষ্যার অবস্থান থাকায় ১৯৯৬ সালে ৪ লেন উপযোগী একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিলো। সে সেতুর টোল আদায় করার মেয়াদ শেষ হলেও রহস্যজনক কারনে টোল আদায় বন্ধ হয়নি। এবার এই সেতুর পাশেই আরো ৪ লেনের আরেকটি সেত নির্মাণের কাজ চলছে। এ জন্য নাম দেয়া হয়েছে জোড়া সেতু।
এর আগে ঢাকা বাইপাস নির্মাণে চীনা প্রতিষ্ঠান সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি) এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করে সড়কের সম্প্রসারণ কাজ শুরু করে।
গাজীপুরের ভোগরা থেকে রূপগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৮ লেনের ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা বাইপাস সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। বাইপাসের মধ্যেই রূপগঞ্জের কাঞ্চন শীতলক্ষ্যা নদীর উপর একটি দৃষ্টিনন্দন সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান একত্রে বাইপাস ও সেতু নির্মাণ করছে।
এদিকে প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ও পরিষেবা স্থানাস্তর কাজের জন্য ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই অর্থ সরকার দেবে। সূত্র মতে, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের (চার বছর) মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। বাইপাস ও সেতু চালু হলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ২১ বছর পর্যন্ত টোল আদায় করতে পারবে।
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে পূর্বাচল উপশহরের ৩০০ ফুট সড়ক ও ঢাকা বাইপাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর একেবারে সন্নিকটে রূপগঞ্জ উপজেলার উপর যোগাযোগের জন্য এটি হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন