পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে সেসব অঞ্চলে যেখানে তারা সংখ্যালঘু। তিনি ওআইসি রাষ্ট্রগুলোকে ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করতেও আহ্বান জানান। তথ্যমন্ত্রীদের ইসলামিক কনফারেন্সের ১২তম অধিবেশনে শনিবার ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর জন্য বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান ইসলামফোবিয়া মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করার সময় এসেছে। ইসলামোফোবিয়ার ঘৃণ্য ঘটনা থামছে না। তিনি বলেন, আমাদের অঞ্চলে, দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং ঘৃণামূলক অপরাধগুলি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতে মব লিঞ্চিং, পূর্ব-পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং ইলেকট্রনিক এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মুসলিম ব্যক্তিত্বদের নেতিবাচকভাবে চিত্রায়নে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত আকাক্সক্ষার প্রতিনিধি হিসাবে ওআইসি অনন্যভাবে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং মুসলিমদের মৌলিক অধিকার এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় তার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ওজন এবং প্রভাব ফেলতে হবে। তিনি তথ্য ডোমেনে মুসলমানদের, বিশেষ করে তাদের বিশ্বাস বা ইসলামের সম্মুখীন হওয়ার চ্যালেঞ্জগুলির বিষয়ে পর্যবেক্ষণের সাথে একাধিক সুপারিশ তুলে ধরেন। পাক এই মন্ত্রী তথ্য নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ইচ্ছাকৃত ব্যবহার তুলে ধরেন যা ইসলাম এবং মুসলমানদের সম্পর্কে ধারণাকে সংজ্ঞায়িত করে। তিনি উল্লেখ করেন যে, অনেক মুসলিম দেশে এখন স্বাধীন মিডিয়া রয়েছে, যা ইসলামের স্টেরিওটাইপড চিত্র সম্পর্কে মানুষের মনে প্রবেশ করেছে। “তথ্য উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে,” উল্লেখ করে তিনি একটি নতুন স্বাধীন তথ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দেন। মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে তথ্য সমন্বয় তৈরির ক্ষেত্রে আরও কিছু করা দরকার বলে তিনি মনে করেন। তিনি জোর বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে চেতনা থাকা উচিত এবং ঘরে বসে সেই স্রোত এবং প্রবণতাগুলি মোকাবেলা করা উচিত যা ইসলাম এবং মুসলিম সমাজ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করছে। আরও গণতন্ত্র, আরও জনসাধারণের অংশগ্রহণ, আরও অন্তর্ভুক্তি এবং বাক স্বাধীনতার উপর ফোকাস যা সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রজেক্টযোগ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুল উপস্থাপনাকে মোকাবেলা করা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই সত্যিকারের খবর দিয়ে ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে; প্রকৃত জনগণের আকাক্সক্ষার সাথে বেঈমানি করে এমনকিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করুন এবং প্রকৃত ভোট দিয়ে ট্রলের সাথে লড়াই করুন। ঘৃণা ও প্রতারণার প্রবর্তকদের চিহ্নিত করতে ও তাদের বিচারের জন্য আইনের প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। এপিপি, দ্য নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন