শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

প্রধান দুই দলের প্রার্থী চুড়ান্ত জাপা শাসনতন্ত্র আন্দোলনও বসে নেই

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : চরফ্যাশন পৌর সভার নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দু‘দলের দলীয় প্রার্থী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিবেন বলে জানা গেছে। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু ইউসুফ জানান, কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রæয়ারি চরফ্যাশন পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করতে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। গত সোমবার থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতেও শুরু করেছে প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে পৌর আ.লীগের সভাপতি বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ ও বিএনপি প্রার্থী হিসাবে সাবেক মেয়র আমিরুল ইসলাম মিন্টিজকে মনোয়ন দেয়ার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত রোববার জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সম্পাদকদের সাক্ষরিত সুপারিশসহ মেয়র পদে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাছাইকৃতদের নাম চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পরিবেশ ও বন উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জানান, দু’মাস আগেই উপজেলা পর্যায়ের মিটিংয়ে বাদল কৃষ্ণ দেবনথের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই একটি নামই জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়। গত সোমবার ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, জেলা আ.লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলুর বৈঠকে ওই নামই কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। গত রোববার ঢাকায় বসেই সাবেক এমপি চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে সাবেক মেয়র চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি‘র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়। এমন গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে গত সোমবার মিন্টিজ তার আয়কর রিটার্নসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মেয়র পদের জন্য বিএনপির ৫ জন প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এদের মধ্যে গত ৩ বারের নির্বাচন করেছে ওই প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকায় মিন্টিজকেই মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে গত সোমবার পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেননি। আবার ক্ষমতাসীন আ.লীগ থেকে কাউন্সিলর পদে একাধিক তরুণ ও যুব নেতারা এবার প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নিয়ে মাঠে নামলেও বিএনপির অনেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখা যায়নি। এদিকে ছোট-খাট শরীক দলগুলোও পৌর নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে তাদের নির্দেশনা রয়েছে স্ব-স্ব দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় পাটিও আলাদা প্রার্থী দিবে বলে উপজেলা জাতীয় পাটির নেতা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। ইসলামী শাসন তন্ত্র আন্দোলনের আলহাজ্জ আলাউদ্দিন জানান, আমরা যোগ্য প্রার্থী খুঁজছি। যদি না পাওয়া যায় তাহলে দল আমাকে মনোয়ন দিতে পারে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন