অসহনীয় যানজটে স্থবির ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক। সকাল থেকেই এই সড়কে যানবাহনের চাপ দেখা দিয়েছে। এতে কর্মজীবী মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। এই যানজট কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। ভোর পাঁচটা থেকেই জ্যাম চলে গেছে বনানী পর্যন্ত। মানুষের কী যে একটা ভোগান্তি তা বুঝানো যাচ্ছে না।
উত্তরা এলাকার ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, ভোর পাঁচটা থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর যানজট চলে গেছে রাজধানীর বনানী পর্যন্ত। কোনো গাড়িই সামনে এগোতে পারছে না। এদিকে বেলা বাড়তেই সড়কে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু আজকের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। আজ ভোর পাঁচটা থেকেই ময়মনসিংহমুখী সড়কের টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং ঢাকামুখী সড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজট দেখা দিয়েছে। এতে সকাল থেকেই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।
তিনি আরও বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এমনিতেই ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সড়কের পাশের নালাও নোংরা-আবর্জনায় প্রায় ভরা। এতে নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজটের। সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকালও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়। এতে গতকালও যানজটের ভোগান্তি এড়ানো যায়নি। কিন্তু এর মাঝে সড়ক মেরামত না করায় আজ ভোর থেকেই দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
উত্তরার হাউস বিল্ডিং ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আজ ভোর পাঁচটা থেকেই যানজট চলে গেছে প্রায় বনানী পর্যন্ত। গাজীপুর অংশে কোনো গাড়িই ঢোকাতে পারছি না। এভাবে রাস্তায় কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সকাল সাড়ে আটটায় সরেজমিনে সড়কটির গাজীপুরের বিভিন্ন অংশে ইট, বালু, সিমেন্টসহ অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী অগোছালোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে কোথাও কোথাও সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কোথাও তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। এসব খানাখন্দে জমে আছে পানি। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা টঙ্গীর মিলগেট এলাকায়।
প্রকল্পের পরিচালক মহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কের স্থায়ী নির্মাণকাজ চলছে। নভেম্বরের দিকে কাজ শেষ হলে আর ভোগান্তি থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন