চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বাদিপক্ষের আইনজীবী এইচ.এম. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর বাদি পক্ষের আইনজীবী আসামিদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদি মেহেদী হাসান খান বিজ্ঞাপন দেখে তিনটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু গিফট কার্ড অর্ডার এবং এ বাবদ আট লাখ ৫৪ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। তবে ইভ্যালি নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হন। এরপর ৯ মার্চ ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। একই বছরের ৫ জুলাই চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে ডিজ অনার হয়। এ বিষয়ে ১৪ অক্টোবর তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২৮ নভেম্বর শামীম নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদি মামলাটি করেন। এদিন আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। তারা উপস্থিত না হওয়ায় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তিন ধার্য তারিখে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না আসায় আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন