বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। এরপর মাস্কের পদক্ষেপ কী হতে পারে- এটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে মার্কিন ধনকুবেরের এ অধিগ্রহণ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মটির ভবিষ্যতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
বৃহস্পতিবার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মাস্ক টুইটারের বেশ কয়েকজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও পরাগ আগারওয়াল, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল এবং আইন ও নীতিবিষয়ক প্রধান বিজয় গাড্ডে।
এদিকে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, টেসলা সিইওর পরবর্তী পদক্ষেপ হবে টুইটার থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া ব্যবহারকারীদের ফেরত আনা। তাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন।
পলিটিকো জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে টুইটারে ফেরার অনুমতি দেওয়া হলে মাস্কের অধিগ্রহণ প্রতিষ্ঠানটিতে ভবিষ্যতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। মাস্ক যদি টুইটারের ঘৃণামূলক বক্তব্য ও গুজব প্রতিরোধের নিয়ম শিথিল করেন, তাহলে ট্রাম্প তার অ্যাকাউন্ট ফেরত পেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আর ১২ দিন বাকি। এর আগেই ট্রাম্প তার টুইটার অ্যাকাউন্ট ফেরত পেলে তা অবশ্যই নির্বাচনী মাঠে প্রভাব ফেলবে। এর ফলে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী ফলাফল চ্যালেঞ্জ, বিরোধীদের ওপর চড়াও হওয়া এবং মিুুথ্যা ছড়ানোর একটি কার্যকর মাধ্যম পাবেন।
তবে গত এপ্রিলে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি আর টুইটারে ফিরতে চান না। এর বদলে তিনি ট্রুথ সোশ্যাল নামে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গড়তে চান।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর সহিংসতার ঝুঁকি এড়াতে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় ওই কাজে নেতৃত্ব দেন সদ্য চাকরিচ্যুত বিজয়া গাড্ডে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারার পর ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন