স্বাধীনতার পরে এত বড় মানুষের সমাবেশ দেখেনি রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের মানুষ। শনিবার সমাবেশে প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল ইসলামের ভাষণ শেষ হয়ে গেলেও মানুষ সমাবেশ স্থলের দিকে ছুটি চলেছে। মাইকে ১৫ ২০ কিলোমিটার দূরে ভাষণ শোনা না যাওয়ায় মানুষ অগ্রসর হতেই থাকে। শরীয়তপুর রংপুর সড়কের পাগলাপীর ও বদরগঞ্জ রংপুর সড়কে বদরগঞ্জ থেকেই জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। রংপুর শহর থেকে পাগলা পীরের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার ও বদরগঞ্জ থেকে রংপুরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটারেরও বেশি। শনিবার দুপুরে এই দুই এলাকায় মানুষের জমায়েত দেখে মনে হচ্ছিল মহাসমাবেশ রংপুরে নয় আশেপাশেই কোথাও হচ্ছে। প্লাকাড ফেস্টুন হাতে নেতা কর্মীরা অন্ধের মত সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু পা ফেল আর জায়গা নেই। অনেককেই দেখা গেল যেখানেই জায়গা পেয়েছে সেখানেই বসে পড়েছে। শনিবার একটি জিনিস চোখে পড়ার মতো নজর কেড়েছে তা হচ্ছে রাত্রি যাপনের জায়গা না পাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তার ধারে ও ধান ক্ষেতে ধানের গাছকেই বিছানা বানিয়ে শুয়ে পড়েছে। ধানের ক্ষতি হয়েছে কিন্তু জমির মালিক কাউকেই বাধা দেয়নি বরঞ্চ উৎসাহিত করেছে রাত্রি যাপনের জন্য। জলশ্রুতের মধ্যে থাকা আমরা কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী বদরগঞ্জে অবস্থান করতে বাধ্য হই। মহাসমাবেশে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনা যায়নি তারপরও পরিবেশ গণজমায়েতের জানান। এখানে আলাপ হল পার্বতীপুর থেকে যাওয়া আব্দুল হাকিম এর সাথে। তিনি জানালেন পার্বতীপুর পৌরসভার নির্বাচনে সহিংসতার কারণে চার দিন পর আজ সকালে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। অনেক আশা নিয়ে আমরা বাসে করে রংপুর যাওয়ার জন্য রওনা দেই । কিন্তু বদরগঞ্জ এসে বাস দুরের কথা পায়ে হেঁটেই যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনতে না পেলেও মনকে সান্ত্বনা দিতে পারছি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিতে পেরেছি।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন