শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাশিয়ার স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি তুরস্কের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৪৫ এএম

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করা সত্ত্বেও শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তুরস্ক। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি ক্রিমিয়ায় কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা হয়েছে। এ হামলার ব্যাপারে ইউক্রেনের বিরুদ্ধ অভিযোগ তুলে গত শনিবার কিয়েভের সঙ্গে করা শস্য চুক্তি স্থগিত করেছে মস্কো। তবে মস্কোর এ স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও ওই দিনেই ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টন শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে গেছে। গত আগস্টে শস্য চুক্তি হওয়ার পর এটিই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ পরিমাণ রপ্তানি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ‘রাশিয়া একটু দ্বিধান্বিত আচরণ করছে, কারণ শস্য চুক্তি থেকে তারা সমান সুবিধা তুলে নিতে পারেনি। তারপরও আমরা মানবতার খাতিরেই শস্য রপ্তানির সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি রাশিয়াকে পুনরায় বিবেচনার করার আহ্বানও জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর গতকাল সোমবার টেলিফোনে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেছেন, ‘মস্কোর উচিত শস্য চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা। কারণ শস্য চুক্তিটি পৃথিবীর মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টিকে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা উচিত।’
এদিকে শস্য চুক্তি স্থগিত করার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। শস্য চুক্তি কর্মসূচির সমন্বয়কারী জাতিসংঘের কর্মকর্তা আমির আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘বেসামরিক পণ্যবাহী জাহাজ কখনোই সামরিক লক্ষ্য বা জিম্মি হতে পারে না। খাদ্য পরিবহন অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে।’
তবে এসব উদ্বেগ-আহ্বান সত্ত্বেও রাশিয়া বলেছে, তারা কৃষ্ণ সাগরের নিরাপত্তা করিডর দিয়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেবে না। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা করিডর দিয়ে জাহাজ চলাচল অগ্রহণযোগ্য। কারণ ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করতে এ করিডর ব্যবহার করে।
মস্কোর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তারা শস্য চুক্তি প্রত্যাহার করেনি। শুধু স্থগিত করেছে মাত্র। তবে ওই রুটে জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকলে রাশিয়া কী পদক্ষেপ নেবে, তা রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়নি।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করে ফেল রুশ বাহিনী। এরপর ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত জুলাইয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তি গত শনিবার স্থগিত করেছে রাশিয়া। কারণ, রাশিয়ার অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা করেছে ইউক্রেন। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন, কিংবা অস্বীকারও করেনি। সূত্র : আল জাজিরা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন