সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে। ফলে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা দিশেহারা। চারিদিকে ছড়াচ্ছে দূভিক্ষের শংকা। এ যেন মরার উপর খাড়া ঘাঁ। সংকটকালীন এ মুর্হুতে স্থানীয় অর্থনীতি বাঁচাতে পাথর কোয়ারী রাখতে পারে অবিশ^াস্য ভূমিকা। অথচ স্থানীয় সম্পদ আহরনে সিলেটের রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ণ সাধন করা হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় শিল্পগোষ্টি এই সম্পদ আহরণ বন্ধে চক্রান্ত শুরু করে। কথিত পরিবেশ রক্ষার নামে সামনে নিয়ে আসে পরিবেশবাদী সংগঠনকে। পরিবেশের দোহাই দিয়ে আইনী লড়াইয়ে অবর্তীণ হয়ে বন্ধ রাখা হয়ে পাথর কোয়ারী। তাদের কাছে দেশের সব পরিবেশ যেন পাথর কোয়ারীতে। তাই সেখানেই তাদের একমাত্র স্বার্থ। অথচ দেশের সর্বত্র পরিবেশ দূর্ষনের ভয়াবহতা চরমে। সেই জায়গাগুলোতে তারা নিরব। বিজ্ঞদের ধারনা, শিল্প গোষ্টির তাবেদারী করছে পরিবেশবাদী নামের দালালরা। তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে কতিপয় আমলাও। সেই আমলারা কোয়ারী বন্ধে অটল। সেই মিশনে শিল্পগোষ্টির অর্থে পেট ভরছে তারা। বিপরীতে কোয়ারী কেন্দ্রিয় লাখ লাখ মানুষ অসহায় নিরূপায়। তাই আন্দোলন চলমান কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে। সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি পাথর কোয়ারি খুলে দিতে আধা সরকারিপত্র দিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে। গত ২৬ অক্টোবর এই পত্র দেন মন্ত্রী। এদিকে, পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে ৪৮ ঘন্টার পণ্যপরিবহন ধর্মঘট চলছে সিলেটে। এরকম পরিস্থিতিতে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের একটি আহবায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির আহবায়ক হচ্ছেন যুগ্ন সচিব (অপারেশন-২) জ¦ালানী ্ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, সদস্য সচিব হচ্ছেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) এর উপযুক্ত প্রতিনিধি, সদস্য তালিকায় রয়েছেন পরিচালক ভূতত্ত্ব বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি), উপ-পরিচালক ( প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ অধিদপ্তর ্ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি। গত ১১ অক্টোবর বিদ্যুত জ¦ালানী ্ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ বলা হয় গঠিত কমিটি কোয়ারী সমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘোষিত / বিদ্যমান পাথর কোয়ারীর বর্তমান অবস্থা কমিটির নিকট প্রতিবেদন আকারে দাখিল করবেন। গঠিত কমিটি এখন কমিটি সিলেটে এসে পাথর কোয়ারি পরিদর্শন করবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ারি খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, পাথর তোলার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর কমিটির সদস্যরা সিলেটের কোয়ারিগুলো পরিদর্শনে আসবেন। তাঁরা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখবেন পাথর তোলার যৌক্তিকতা আছে কি না। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। বিভাগীয় ট্রাক পিকআপ কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ বলেন, ৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের যে প্রতিনিধি দল আসছেন, তাদের সাথে আমাদের দেখা করার সুযোগ করে দেবেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সেখানে আমাদের দাবীর স্বপক্ষে কথা বলবো। ’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন