পুলিশ বাহিনী একটি পেশাদার বাহিনী। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্সনীতি পুলিশের। জঙ্গীদের উত্থানের সাথে সাথেই গ্রেফতার করা হয়। দেশে হলি আর্টিজানের ঘটনার পরে আর কোন বড় ধরনের জঙ্গীর ঘটনা সংগঠিত হয়নি। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ঈর্ষনীয় সফলতা অর্জন করেছি এবং জঙ্গিবাদ পরিপুর্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালী এলাকায় পুলিশের ক্রীড়া কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন পার্বত্য এলাকায় অভিযান চলছে। অভিযানের স্বার্থে কৌশলগত কারণে এ বিষয়ে আমরা কোন কিছু বলতে চাই না। অভিযান শেষ হলে জানানো হবে। তিনি আরও বলেন সুনামগঞ্জে টুরিস্ট পুলিশ স্থাপনের জন্য কাজ করা হবে। যাতে পর্যটকরা নিরাপদে পর্যটন কেন্দ্র গুলো ঘুরেফিরে দেখতে পারেন।
আইজিপি সুনামগঞ্জে এসে অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সুনামগঞ্জ জেলা আমার প্রথম সফর। আমি সুনামগঞ্জের সন্তান, হাওর এলাকার সন্তান। হাওরের মাটির সঙ্গে পানি সঙ্গে মিলেমিশে আমি বড়ো হয়েছি। হাওরের ঢেউয়ে সাঁতার শিখেছি। উত্তাল হাওরের ঢেউ আর ঝঞ্জা বিক্ষোব্ধ রাত কাটিয়েছি। হাওর এলাকার মানুষ সংগ্রামী মানুষ তাদের সঙ্গে এক সাথে আমি বড় হয়েছি। এখানে আসলে মনে হয় আমি মায়ের কাছে এসেছি। মাটির কাছে এসেছি। এর আগে আইজিপি সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ শপিংমলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে তিনি সিলেট বিভাগে ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ কল্যাণ সভায় মিলিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্ণেল সিঞ্চন আহমদ, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা ও সিলেট বিভাগীয় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন