প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দু’বছরের মাথায় আমেরিকায় মধ্যবর্তী নির্বাচনে ধাক্কা খেল ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের দখল হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল। একাধিক প্রদেশের গভর্নর নির্বাচনেও তারা হেরেছে।
সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৪৩৫টি সাধারণ আসনের সবক’টিতেই ভোট হয়েছে এ বার। সেই সঙ্গে হয়েছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ‘ভোটদানের ক্ষমতাহীন’ ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি এবং ৩৬টি প্রদেশ (স্টেট) ও ৩টি টেরিটরির গভর্নর নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত সিনেটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা জিতেছেন ৪৮টি আসন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতে ৪৭। দু’টি আসন গিয়েছে সতন্ত্রদের দখলে। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া এবং নেভাডারা সিনেট আসনে এগিয়ে রয়েছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। অন্য দিকে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা ১৭৩ এবং রিপাবলিকানরা ১৯৮টিতে জিতেছেন। গণনার প্রবণতা বলছে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাতছাড়া হতে চলেছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। বিদায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ছিলেন ২২০ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য। ২১২ জন রিপাবলিকান। এ বারে সেই সমীকরণ উল্টেও যেতে পারে।
২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। পরাজিত রিপাবলিকানদের কাছে তাই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এ বার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যাপিটল হামলা, আয়কর অনিয়ম-সহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন সাধারণত একটা নকশা মেনে চলে। যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, কংগ্রেসে তাদের আসন কমে যায়। সেই হিসাবে সিনেটে গরিষ্ঠতা পেয়ে বাইডেনের দল কিছুটা স্বস্তিতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর ভোটে ফের ট্রাম্প প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে বলে তাদের মত। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন